মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উজ্জয়িনীতে ৮৫৬ কোটি টাকা ব্যায়ে মহাকালেশ্বর মন্দির করিডোর তৈরি হয়েছে। আজই সেই মন্দিরের করিডোরের উদ্বোধন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, এই মহাকালেশ্বর মন্দির ভগবান শিবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি। আর এই করিডোর ঘিরে সাধারণ মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। আসুন জেনে নিই এই মন্দিরের বিশেষত্ব সম্পর্কে। এই মন্দিরে কী আছে, ঘুরতে কত সময় লাগবে, এত টাকা খরচ কেন হল, পশ্চিমবঙ্গ থেকে কীভাবে যাবেন, খরচ কত হতে পারে সব কিছু।
কী আছে এই করিডোরে ?
এই করিডোরে রয়েছে দুটি বিশাল প্রবেশদ্বার। যাদের নাম নন্দী গেট এবং পিনাকী গেট। এছাড়াও বেলেপাথরে খোদাই করা ১০৮ টি ছোটো ছোটো স্তম্ভ দিয়ে তৈরি হয়েছে একটি বিশাল স্তম্ভ। রয়েছে ঝরনা এছাড়াও শিব পুরাণে বর্ণিত ৫০টিরও বেশি কাহিনির ছবি। এই করিডোরের দৈর্ঘ্য ৯০০ মিটার। করিডোরের মাঝে শিবের বিশাল মূর্তি রয়েছে। করিডোরের পাশে অবস্থিত ভগবান শিব এবং অন্য দেবতার বিভিন্ন রূপের প্রায় ১৯০টি মূর্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন : মা ও মেয়ে দু'জনের সঙ্গেই প্রেম-ঘনিষ্ঠতার ভিডিও; অয়ন খুনের 'অজানা গল্প'
এই করিডোর বানানোর জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে পাথর ও তা খোদাই করার জন্য শিল্পী আনা হয়েছিল। সংবাদ সংস্থার মতে,রাজস্থানের বাঁশি পাহাড়পুর অঞ্চলের বেলে পাথর ব্যবহার করা হয়েছে কাঠামো নির্মাণে। মূলত রাজস্থান, গুজরাত ও ওড়িশার শিল্পীরা সেই পাথর খোদাইয়ের কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন : পড়ুয়াদের ৩৬ হাজার টাকা স্কলারশিপ দেবে মোদী সরকার, কোথায় আবেদন-কীভাবে?
করিডোরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
করিডোরে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়েছে প্রচুর সিসিটিভি। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য রাখা থাকবে মাইক। কোন দিকে গেলে কী দেখবেন, কোথায় কী আছে ইত্যাদি সব সেই মাইকেই ঘোষণা করা হবে প্রতি মুহূর্তে। এছাড়াও মন্দির করিডোর কমপ্লেক্সের নিরাপত্তার জন্য সেখানে থাকবে কমান্ডো কেন্দ্র। করিডোরের মধ্যেই থাকবে যানবাহন রাখার গ্যারাজ। পথচারীদের জন্য আলাদা রাস্তার ব্যবস্থা থাকবে। যাতে কারও অসুবিধে না নয় সেজন্য মোতায়েন থাকবে সেবাইতরা।
করিডোরের মধ্যে থাকবে বিশেষ গাছ
মহাকাল মন্দির করিডোরে দেখা যানে মহাকবি কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলমে বর্ণিত গাছগুলি। থাকবে প্রায় ৪০-৪৫টি প্রজাতির গাছ। তালিকায় রয়েছে রুদ্রাক্ষ,বকুল, কদম, বেল, সপ্তপর্ণি ইত্যাদি। শোনা যাচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার গাছ লাগানো হতে পারে। পরে তৈরি হতে পারে একটি গ্রিন করিডোরও।
এছাড়াও ভক্তদের সুবিধার জন্য করিডোরে আছে একটি মিডওয়ে জোন, একটি পার্ক, গাড়ি এবং বাসের জন্য একটি বহুতল পার্কিং লট, ফুল ও অন্য দোকান।
এই করিডোরে ঘুরতে সময়ও লাগবে অনেকটা। কমপ্লেক্সটি এতই বিশাল যে, পুরো মন্দির কমপ্লেক্সটি দেখতে এবং কম করে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় লাগবে। সেজন্য ব্যাটারিচালিত যানবাহনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এই পুরো করিডোরের প্রজেক্ট ডিরেক্টর কৃষ্ণ মুরারি শর্মা জানান, যে এখানে ভগবান শিব সম্পর্কিত যে ছবি দেখানো হয়েছে যা বিশ্বের কোথাও নেই।