ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের সবচেয়ে বিশেষ অস্ত্র 'বাগ নাখ' শীঘ্রই দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে। শিবাজি এই বাঘনখ দিয়েই তার ৬.৭ ফুট শত্রু আফজাল খানকে হত্যা করেছিলেন। গত কয়েক দশক ধরে লন্ডনের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়ামে এই বাঘের নখর রাখা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ এখন সেই অস্ত্র ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়েছে। মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সুধীর মুনগান্টিওয়ারের উদ্যোগে শিবাজি আমলের এই বিশেষ অস্ত্রটি ফিরে আসবে।
বাঘনখের গল্প কি?
শিবাজীর উপর লেখা 'শিবাজি অ্যান্ড হিজ টাইমস' বই অনুসারে এই ঘটনাটি ঘটেছিল ১৬৫৯ সালে। বিজাপুর সালতানাতের রাজা আদিল শাহ আফজাল খানকে শিবাজির কাছে দাসত্ব গ্রহণের জন্য পাঠিয়েছিলেন। শিবাজি তাঁর দুই অনুগতকে নিয়ে এই সভায় এসেছিলেন। যেখানে আফজাল খান পাঁচ জনকে নিয়ে সেখানে আসেন। আফজাল খানের উদ্দেশ্য সম্পর্কে শিবাজি ইতিমধ্যেই সন্দেহজনক ছিলেন এবং তিনি সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন। আফজাল খান শিবাজিকে আলিঙ্গন করার অজুহাতে তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন, যদিও শিবাজি এমন সম্ভাব্য আক্রমণ সম্পর্কে আগেই সতর্ক ছিলেন। আফজাল শিবাজিকে জড়িয়ে ধরার অজুহাতে আক্রমণ করার সাথে সাথে শিবাজি তার বিশেষ অস্ত্র বাঘের নখর বের করে আফজাল খানকে হত্যা করে।
বাঘনখ হল ইস্পাতের তৈরি একটি অস্ত্র। এটি একজন ব্যক্তির হাতের মুষ্টিতে ফিট করে। এটির উভয় পাশে একটি আংটি রয়েছে যা হাতের প্রথম এবং চতুর্থ আঙ্গুলে পরা হয়। কথিত আছে, বীর শিবাজি সর্বদা এই বিশেষ অস্ত্রটি তাঁর নিরাপত্তার জন্য নিজের কাছে রাখতেন।
কিভাবে শিবাজীর বাঘের পেরেক দেশ থেকে ব্রিটেনে পৌঁছেছিল? এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিবাজি মহারাজের এই বিশেষ অস্ত্রটি স্বাধীনতার আগে মারাঠা রাজ্যের রাজধানী সাতারায় ছিল। ব্রিটিশরা ভারতে আসার পর মারাঠা পেশওয়ার প্রধানমন্ত্রী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিসার জেমস গ্রান্ট ডুপকে এটি উপহার হিসেবে দেন। এরপর ১৮২৪ সালে অফিসাররা তাদের দেশ ব্রিটেনে পৌঁছে সেখানকার ভিক্টোরিয়া ও অ্যালবার্ট মিউজিয়ামে দান করেন। তখন থেকেই ছিল।