মহাকাশে হেয়ার কাট শুভাংশু শুক্লার। ভাইরাল হল সেই ছবি। এর আগে স্পেশ স্টেশনে পার্টিতে মজেছিলেন তাঁরা। এবার মাইক্রো-গ্র্যাভিটিতে বসে চুল কাটালেন। প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী হিসেবে এই নজির গড়লেন শুভাংশু। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি চেয়ারে হাসিমুখে বসে রয়েছেন শুভ্রাংশু। তাঁর পিছনে ট্রিমার হাতে দাঁড়িয়ে আমেরিকান মহাকাশচারী নিকোল আয়ার্স।
শুভাংশুর চুল কাটানোর ছবি ট্যুইটারে পোস্টও করেন নিকোল। তিনি লেখেন, 'আজ আমাদের Ax4 বন্ধুদের বিদায় জানিয়েছি। গত সপ্তাহান্তের চুল কাটার কথা ভেবেছিলাম। দীর্ঘ কোয়ারেন্টাইনের পর, চুল কাটানোর সিদ্ধান্ত ভালো। মহাকাশে চুল কাটানো নিয়ে নিজেদের মধ্যে মজাও করেছিলাম। বলছিলাম, যখন পৃথিবীতে ফিরে আসব তখন চুল কাটার ব্যবসা করতে পারি। তাতে আমাদের ভবিষ্যৎ কেমন হবে সেটা যদিও জানা নেই।'
চুল কাটানোর পর তা ফেলার জায়গা নেই মহাকাশযানে। সেখানে যদিও ভ্যাকুয়াম ক্লিনার থাকে। যা চুলকে শুষে নিতে পারে। তবে মহাকাশযানে স্নানের কোনও ব্যবস্থা থাকে না। ঠান্ডা বা গরম জল সেখানে পাওয়া যায় না। সেজন্য ভেজা তোয়ালে ব্যবহার করতে হয় মহাকাশচারীদের। তবে ওয়েইট ওয়াইপ, ড্রাই ওয়াইপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে সেখানে স্নানের ব্যবস্থা না থাকলেও নোংরা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই মহাকাশচারীদের। কারণ, মহাকাশযান খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। ভিতর থেকে বন্ধ সব সময়। ধুলো, বালি ঢোকার কোনও সম্ভাবনা থাকে না।
মহাকাশে ১৮ দিন কাটানোর পর মঙ্গলবার ভারতীয় সময় দুপুর ৩টে ১ মিনিটে পৃথিবীতে অবতরণ করেন মহাকাশচারীরা। সম্পূর্ণ নিরাপদে, সঠিক শিডিউল মেনেই নেমে আসে স্পেসএক্স-এর ড্র্যাগন ক্যাপসুল। এই সময়ে ক্যাপসুলের গতি ছিল ঘণ্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার। ধীরে ধীরে তা কমতে কমতে ২৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় নেমে আসে। এর পর একে একে খুলে যায় চারটি প্যারাশ্যুট।