Teesta Water Level Increased: বুধবার রাতে নতুন করে তিস্তায় জলস্ফীতি শুরু হয়েছে সিকিম (Sikkim) এবং তিস্তা (Teesta) সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) দুপারের (Teesta River Bank) বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দার্জিলিং (Darjeeling) এবং কালিম্পং (Kalimpong) জেলা প্রশাসনের তরফে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তিস্তা সংলগ্ন প্রতিটি ব্লক এলাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে খবর মিলেছে। নতুন করে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। সিকিমের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের ডিরেক্টর প্রভাকর রাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন মুগুথাংয়ে বাড়তি বৃষ্টির জন্য তিস্তার জল বেড়েছে। সব জায়গায় সতর্কতা বার্তা পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও সতর্কবার্তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিস্তার জল বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ
তবে আবহাওয়া দফতরের রিপোর্টে হালকা বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। ফলে তিস্তার জল বৃদ্ধি নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। লোনক লেকের কোনও অংশে ফের বিপর্যয় ঘটেছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বিপর্যয়ের পর হয়তো কোথাও বরফের চাঁই আটকে থাকতে পারে, যা গলতে শুরু হওয়ায় জল বাড়ছে সিকিমে। সিকিমে নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন এবং বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি।
আবহাওয়া বিগড়ে যায় বুধবার
তিস্তায় গত দু'দিন ধরে যে উদ্ধারকার্য চলছিল বুধবার খারাপ আবহাওয়া হওয়ার কারণে হেলিকপ্টার উড়তে পারেনি। তাই তা স্থগিত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের আকাশ খানিকটা পরিষ্কার হওয়ায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। কয়েকশো পর্যটক ও মানুষকে উত্তর সিকিমের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাংটক এ নিয়ে আসা হচ্ছে।
এর মধ্যে নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে
এর মধ্যে নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে নদী খাতে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় তার নীচে সেনাবাহিনীর প্রচুর গোলাবারুদ, ডিটোনেটর থাকতে পারে। তাই কেউ যাতে পলি না সরায় সেই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি যেখানে সেখানে অস্ত্র-বিস্ফোরক নজরে এলে তা সরাসরি সরকারকে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে একটি খবর ছড়ায় যে বিস্ফোরণে একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প উড়ে গিয়েছে। যদিও তা সত্যি নয় বলে সিকিম প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে নদী খাতে পলির নীচে ঢুকে থাকা এবং গোলাবারুদ উদ্ধারে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
গত ৪ অক্টোবর মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলায় থাকা লোনক হ্রদ ভেঙে গিয়ে আচমকা তিস্তায় হড়পা বান চলে আসায় ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে। নদীতে জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে যায়। সিকিমের মঙ্গন জেলার লোনক লেকের বাঁধ ভেঙে যায়, সেই জলের কারণে তিস্তা নদীর জলস্তর খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এতে মঙ্গন, গ্যাংটক, পাকিয়ং এবং নামচি জেলায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়।
ভাসিয়ে নিয়ে যায় তিস্তার পারে বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষ, সেনাবাহিনীর শিবির সহ একাধিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে। সেতু, বাঁধ ভেঙে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আপাতত ধীরে ধীরে আবহাওয়া বদলে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে গতি এসেছে। পর্যটকদের সরিয়ে আনা হয়েছে সোমবার। মঙ্গলবারও হেলিকপ্টারে এই উদ্ধার কাজ চলবে। তবে এরই মধ্য়ে নতুন করে সমস্য়া দেখা দিয়েছে।