scorecardresearch
 

Sikkim Flood: জয় জওয়ান! নীচে প্রবল বেগে বইছে নদী, জীবন বাজি রেখে সিকিমে যেভাবে ব্রিজ বানাল সেনা, VIDEO VIRAL

দুর্যোগে বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন সেনা জওয়ানরা। অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবন হাতে নিয়ে কাজ করছে ভারতীয় সেনা। কতটা ঝুঁকিবহুল কাজ করতে হয় সেনাকে, তার প্রমাণ একটি ভিডিও।

Advertisement
North Sikkim North Sikkim
হাইলাইটস
  • জীবন হাতে নিয়ে কাজ করছে ভারতীয় সেনা
  • ৪৮ ঘণ্টার কঠোর পরিশ্রমের পর ব্রিজ
  • সিকিমে কেন এমন বিপর্যয় ঘটে?

রণক্ষেত্রে শত্রুপক্ষকে যেমন নিমেষে খতম করতে পারে, তেমনই জীবন বাঁচানোর যুদ্ধেও জয়ী ভারতীয় সেনা (Indian Army)।  সিকিমে (Sikkim Flood 2024) ভয়াবহ বৃষ্টি ও সঙ্গে হড়পা বান চলছে। দেদার ধস নেমে বহু রাস্তা বিপর্যস্ত। সিকিমের (Sikkim Rain) বহু এলাকা মূল ভখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। সেই বিচ্ছিন্ন এলাকা বা গ্রামগুলিকে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়তে নেমে পড়েছেন ভারতীয় সেনা। 

জীবন হাতে নিয়ে কাজ করছে ভারতীয় সেনা

দুর্যোগে বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন সেনা জওয়ানরা। অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবন হাতে নিয়ে কাজ করছে ভারতীয় সেনা। কতটা ঝুঁকিবহুল কাজ করতে হয় সেনাকে, তার প্রমাণ একটি ভিডিও। ভারতীয় সেনা ত্রিশক্তি ফোর্সের এক ইঞ্জিনিয়ার জওয়ান প্রবল গতিতে বয়ে চলা পাহাড়ি নদীর উপর কীভাবে সাসপেনশন ব্রিজ বানালেন, দেখলে শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাবে। একটু বেসামাল হলেই সোজা নদীতে এবং মুহূর্তে ভেসে যাবে। 

আরও পড়ুন

সিকিমে সাসপেনশন ব্রিজ বানাল ভারতীয় সেনা
সিকিমে সাসপেনশন ব্রিজ বানাল ভারতীয় সেনা

৪৮ ঘণ্টার কঠোর পরিশ্রমের পর ব্রিজ

নিচের নদীর প্রবাহ ঘণ্টায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার। নদীর এই গতি যেকোনও সময় মৃত্যু ঘটাতে পারে। অবশেষে ৪৮ ঘণ্টার কঠোর পরিশ্রমের পর তৈরি হয়েছে দেড়শো ফুট দীর্ঘ ঝুলন্ত সেতু। এরপর দুর্যোগে বিচ্ছিন্ন গ্রামের লোকজনকে এই সেতু দিয়ে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by India Today NE (@indiatodayne)

Advertisement

সিকিমে কেন এমন বিপর্যয় ঘটে?

সম্প্রতি সিকিমে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। একাধিক মৃত্যু হয়েছে। আটকে পড়েছেন ১৫০০ জনেরও বেশি পর্যটক। ঘটনাটি মঙ্গন জেলার। ভূমিধসের কারণে এখানে নির্মিত নতুন সেতুটিও ভেঙে গিয়েছে। মঙ্গন জেলার সঙ্গে যোগাযোগ শেষ হয়ে গিয়েছিল। 

গত বছরও ৩ অক্টোবর রাতে তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যা হয়েছিল। এই আকস্মিক বন্যাটি ছিল হিমবাহ হ্রদে মেঘভাঙা বন্যা। মানে GLOF। ২০১৩ সালে কেদারনাথ এবং ২০২১ সালে চামোলিতে একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছিল। গত বছর সিকিমে আকস্মিক বন্যার কারণে ৮৮,৪০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। ৭৬ জন নিখোঁজ ছিল। ৩৩টি সেতু তলিয়ে গিয়েছিল। দুটি সরকারি ভবন ও ১৬টি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

TAGS:
Advertisement