Sikkim Siliguri NH 10 Open: প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হয়েছিল শিলিগুড়ি-সিকিম ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তার মাঝে একবার খোলা হলেও পরদিনই তা আবার নতুন করে ধস নেমে বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যাতায়াত। এরপর ফের খুলে দেওয়া হলেও গত সপ্তাহে ফের বন্ধ হয়ে যায় প্রবল বৃষ্টির কারণে। পর্যটনের ভরা মরশুমে বিপাকে পড়ে গোটা সার্কিট। সিকিমের প্রভাব পড়ে দার্জিলিং পাহাড়েওর পর্যটনেও। ফলে ঝুঁকি নিয়ে হলেও ফের যাতায়াতের মতো বন্দোবস্ত করে দেওয়া হল ফের জাতীয় সড়ক খুলে দিয়ে।
জরুরি ভিত্তিতে খুলে দেওয়া হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তবে রাস্তাটি দিয়ে যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও, অতি সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফে। ভূমিধসের জেরে কয়েকদিন আগে সেতিঝোড়ায় রাস্তার বড় একটা অংশ তিস্তাগর্ভে চলে যায়। যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় জাতীয় সড়কটি। আজ রাস্তাটি খুলে দেওয়া হয়েছে, তা যে কোনও সময় ফের বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। কেননা, যে কাজ হয়েছে, তা জরুরি ভিত্তিতে সাময়িক মেরামতি বলে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া পাহাড় কাটায় এলাকাটিতে নতুন করে ধসও নামছে।
গোটা মরশুমেই সিকিম-দার্জিলিং-কালিম্পং পাহাড় ভুগেছে ধস, অতিবৃষ্টি আর তিস্তার ভ্রুকুটিকে সঙ্গী করে। পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। চলতি মরশুমে বড় ধরণের বিপর্যয় এখনও না ঘটলেও তিস্তার জলস্ফীতি আর ধস বারবার ভুগিয়েছে এলাকাকে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার জাতীয় সড়ক মরশুমের শুরু থেকেই বারবার ধসে বিপর্যস্ত। টানা প্রায় এক মাসের কাছাকাছি বন্ধ থাকার পর সবে কয়েকদিন হল ধস সরিয়ে রাস্তা মেরামত করিয়ে খোলে হয়েছিল, তার দুদিনের মধ্যেই ফের অন্য জায়গায় ধস নেমে ফের বন্ধ হয়ে গেল ওই সড়ক। এদিকে টানা বৃষ্টি চলছেই গোটা রাজ্যে। বৃষ্টি হচ্ছে পাহাড়েও।
রংপো চেকপোস্ট থেকে মেল্লিবাজার, চিত্রে, রবিঝোরা, তিস্তা বাজার, ২৯ মাইল হয়ে কালিম্পং জেলা সীমানা পর্যন্ত গোটা রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। সমস্ত বড় যানবাহন ঘুরপথে চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।তবে চালু হলেও আপাতত ছোট গাড়িকেই অনুমতি দিয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন।