সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইক পাওয়র নেশা। আর তাই কাল হয়ে উঠল। লাইক পাওয়ার চক্করে জলে তলিয়ে গেল যুগল। গত ৭২ ঘণ্টায় এমন ৪টি ঘটনা সামনে এসেছে। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন।
এতদিন পর্যন্ত যে ঘটনাগুলি সামনে এসেছে, সেখানে দেখা গেছে, যুবক বা যুবতীরাই লাইকের নেশায় জীবন বাজি রেখেছে। তবে সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি দেখা গেল মুম্বইয়ে। মধ্যবয়স্ক এক দম্পতি সমুদ্রের তীরে ছবি তুলতে যান। ঢেউ তাদের তলিয়ে নিয়ে যায়। সেই ভিডিও এখন ভাইরাল। কোনওমতে ব্যক্তিটি প্রাণে বাঁচলেও তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়।
আবার ইনস্টাগ্রাম রিল তৈরি করতে গিয়ে জলে তলিয়ে গেল দুই যুবক। উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ার নদীতে দুই যুবক স্নান করতে নেমে রিল করছিল। এদের মধ্যে একজনের মৃত পাওয়া গেলেও অপরজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। দুজনেই এটাওয়ার ইকদিল এলাকায় সিঙ্গার নদীতে ইনস্টাগ্রাম রিল তৈরি করছিল।
ওই যুবকদের মামা দিল্লির বদরপুরের বাসিন্দা। নাম শামি খান। তিনি জানান, বড় ছেলে রেহানের বয়স ১৭ বছর। চাঁদের বয়স ছিল ১৩ বছর। এখন নদীর জল বেড়েছে। কিন্তু এসবের পরোয়া না করে দুজনেই ইনস্টাগ্রামের জন্য স্নানের ভিডিও তুলতে শুরু করে। স্নানের সময় হঠাৎ রেহানের পা পিছলে যায়। সে ডুবে যায়। চাঁদ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে যায়। সেও তলিয়ে যায়। সেখানে আরও চারজন ছিল। তারা চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেনি রেহান ও চাঁদকে।
कम से कम बच्ची की आवाज़ सुन लेते. pic.twitter.com/YQaLgSgejR
— Awanish Sharan 🇮🇳 (@AwanishSharan) July 15, 2023
আবার ইনস্টাগ্রামে রিল করতে গিয়ে পান্ডু নদীর স্রোতে ভেসে গেল আনশ নামে এক যুবক। তার চার সঙ্গী তাকে বাচানোর চেষ্টা করে তবে লাভ হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, পাঁচ ছেলে পান্ডু নদীর তীরে রিল বানাতে গিয়েছিল। আনশ তার জামা কাপড় খুলে নদীর স্রোতে ঝাঁপ দেয়। আনশ তার বন্ধুদের জানিয়েছিল, সে সাঁতার জানে। কিন্তু নদীতে ঝাঁপ দেয়ার পর তাকে পাওয়া যায়নি।
সেলফি তুলতে গিয়ে ৪ প্রাণ হারিয়েছে মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরে। ঘটনাটি চন্দ্রপুর জেলার নাগভিদ তহসিলের ঘোড়জারি পুকুরের। ওয়ারোরা তহসিলের শেগাঁও থেকে ৮ যুবক ঘোড়জারি পুকুরে গিয়েছিল। এর মধ্যে এক যুবক পুকুর পাড়ে সেলফি তুলতে শুরু করলে পা পিছলে পুকুরে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে তার ৩ বন্ধু একে একে পুকুরে প্রবেশ করলেও তারা তিনজনই পুকুরে ডুবে যেতে থাকে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় স্থানীয় পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। বর্তমানে স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় লাশ উদ্ধারের কাজ চলছে।