ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ED। আর তার প্রতিবাদে মাঝরাস্তায় বসে ধর্না রাহুল গান্ধীর।
ইডি-র এই জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা দিল্লির রাস্তায় প্রতিবাদ দেখায়। কংগ্রেস কর্মী ও মহিলা শাখার কর্মী সমর্থকরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে সাংসদরা সংসদ থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিলও করেন। এরপরই রাহুল গান্ধী সাংসদদের নিয়ে বিজয় চকে ধর্নায় বসেন।
যদিও পরে ঘটনাস্থলে এসে দিল্লি পুলিশ রাহুল গান্ধীসহ আরও কয়েকজন সাংসদকে হেফাজতে নেয়।
আরও পড়ুন : নগ্ন ছবি শুটের জেরে রণবীরের বিরুদ্ধে FIR, গ্রেফতার হবেন?
রাহুলের বক্তব্য
পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আগে রাহুল গান্ধী বলেন, 'সব কংগ্রেস সাংসদ এখানে বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে কথা বলতে এসেছেন। কিন্তু পুলিশ এখানে বসতে দিচ্ছে না। সংসদে আলোচনা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এখানে আমাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।'
অন্যদিকে, কংগ্রেসকে রাজঘাটে বিক্ষোভ করার অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি কংগ্রেস অফিসের কাছে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাব পুলিশ বাহিনী। এই নিয়ে বিজেপিকেও নিশানা করেছে কংগ্রেস।
এই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা নিয়ে কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন বলেন, 'এই মামলাটি ২০১৬ সালেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কংগ্রেস আমরা রাজঘাটে সত্যাগ্রহ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু BJP আমাদের সত্যাগ্রহ করতে দিচ্ছে না। এই মামলাটি আগে বন্ধ হলেও সরকার তা আবার ওপেন দিয়েছে। অজয় মাকেনের আরও অভিযোগ, কংগ্রেস নেতাদেরও পার্টি অফিসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।'
প্রসঙ্গত, গতমাসে এই মামলাযতেই রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। সনিয়াকেও আগের সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।