Jyoti Malhotra- Pakistan Connection : পাকিস্তানে থাকত পরিবার, দাদুর বাড়ি মুলতান; সেই সূত্রেই কি 'পাক-প্রীতি' জ্যোতির?

পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে জ্যোতি মলহোত্রা। তার কাছ থেকে রহস্যময় ডায়েরি ও চিঠি উদ্ধার করেছে হরিয়ানা পুলিশ। এখনও জেরা করছেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য।

Advertisement
পাকিস্তানে থাকত পরিবার, দাদুর বাড়ি মুলতান; সেই সূত্রেই কি 'পাক-প্রীতি' জ্যোতির? Jyoti Malhotra
হাইলাইটস
  • পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে জ্যোতি মলহোত্রা
  • তার পরিবার পাকিস্তানে থাকত, দাবি গোয়েন্দাদের

পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে জ্যোতি মলহোত্রা। তার কাছ থেকে রহস্যময় ডায়েরি ও চিঠি উদ্ধার করেছে হরিয়ানা পুলিশ। এখনও জেরা করছেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। সূত্রের খবর, গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, জ্যোতির পূর্বপুরুষের বাড়ি ছিল পাকিস্তানে। সেই সূত্রেই পাকিস্তানি এজেন্ট দানিশের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

সূত্রের দাবি, দেশভাগের আগে জ্যোতির পরিবারের সদস্যরা পাকিস্তানের মুলতান এবং বাহাওয়ালপুরে বসবাস করত। ওই তরুণীর দাদু মুলতানের এবং ঠাকুমা বাহাওয়ালপুরের বাসিন্দা। দেশভাগের সময় তাদের পরিবার ভারতে এসে বসতি স্থাপন করে।

হিসার পুলিশ বর্তমানে জ্যোতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং লেনদেনের তদন্ত করছে। বিদেশ থেকে টাকা আসত জ্যোতির অ্যাকাউন্টে, এমনটাই সন্দেহ গোয়েন্দাদের। ইতিমধ্যেই পুলিশ তিনটি মোবাইল ফোন এবং একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে। সেগুলোর ফরেনসিক তদন্ত চলছে। 

জ্যোতি তিনবার পাকিস্তানে গিয়েছিল, সেটা আগেই জানা গিয়েছিল। সম্প্রতি গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বাংলাদেশও একবার ঘুরে এসেছিল সে। ফের সেই দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।  

গোয়েন্দারা এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছেন, জ্যোতি পাকিস্তানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করত, অভিজাত হোটেলে থাকত, বিমানে যাওয়া আসা করত। সে পাকিস্তানের এমন কিছু জায়গার ভিডিও শ্যুট করেছিল, যেখানে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ইতিমধ্যেই জ্যোতির সঙ্গে পাকিস্তানি এজেন্টদের কথোপকথনের তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। ওই তরুণীর কোড নেম ছিল বলেও মনে করা হচ্ছে। 

এখনও পর্যন্ত জানা গেছে, জ্যোতি কেবল পাকিস্তান বা বাংলাদেশেই যায়নি, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী অঞ্চল যেমন চিকেন নেক, নদিয়া, ব্যারাকপুর এবং কলকাতাতেও ঘুরে গিয়েছিল। সূত্রের দাবি, স্পর্শকাতর এই জায়গুলোতে সে কেন এসেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

এদিকে জ্যোতির বাবা হরিশ মলহোত্রা জানিয়েছে, পুলিশ তাকে এখনও কোনও তথ্য দেয়নি। মোবাইলটিও পুলিশের কাছে রয়েছে। এদিকে পুলিশ সুপার শশাঙ্ক কুমার জানিয়েছেন, জ্যোতির অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। 
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement