উত্তরাখণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশ। মাত্র ১ দিনের ব্যবধানে ফের ভগবানের দর্শনে এসে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন পুণ্যার্থীরা। সোমবার ভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি এলাকার অসনেশ্বর মহাদেব মন্দিরে। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২ জনের। আহত অন্তত ৪০।
কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?
জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের একটি ছেঁড়া তার এসে পড়ে মন্দির চত্বরে। সে সময়ে সেখানে ছিল পুণ্যার্থীদের থিকথিকে ভিড়। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় তাঁদের মধ্যে। তখনই ঘটে বিপত্তি। পদপিষ্ট হয়ে যান বহু মানুষ।
শ্রাবণ মাসের তৃতীয় সোমবার উপলক্ষে মন্দিরে ভোর থেকেই জড়ো হয়েছিলেন বহু সংখ্যক দর্শনার্থী। মৃত একজনের পরিচয় মিলেছে। ২২ বছরের প্রশান্ত লোনিকাতরা থানা এলাকার মুবারকপুরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। দ্বিতীয়জনের পরিচয় মেলেনি। পদপিষ্ট হওয়ার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের ত্রিবেদীগঞ্জ কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘটনাটি ঘটে সোমবার ভোর ৩টে নাগাদ। হায়দারগড় মন্দিরে মহাদেবের জলাভিষেক দেখতে রাত থেকেই জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য পুণ্যার্থী। জেলাশাসক শশাঙ্ক ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, বাঁদরেরা পুরনো একটি বৈদ্যুতিক তার নষ্ট করে দিয়েছিল। সেটিই ছিঁড়ে পড়ে যায় মন্দির চত্বরে। তিনি বলেন, 'শ্রাবণের সোমবার উপলক্ষে প্রচুর মানুষ মহাদেব দর্শনে উপস্থিত হয়েছিলেন। মাথার উপর থাকা বৈদ্যুতিক তারগুলিতে ঝাঁপাঝাঁপি করছিল বাঁদরের দল। সে সময়েই একটি পুরনো তার ছিঁড়ে পড়ে। তারপর নিজেরাও এসে পড়ে এখটি টিনের শেডের উপর। তারপরই পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে ওঠে। ঠেলাঠেলি, হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়।'
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ উদ্ধারকাজে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছেন। আহতদের যথাযথ চিকিৎসার বন্দোবস্তও করতে বলেছেন তিনি।
হরিদ্বারে পদপিষ্টের ঘটনা
রবিবার সকালে হরিদ্বারের মনসা দেবী মন্দিরে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের জেরে ঠিক একইরকম মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ভিড়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পুজো দিতে এসে পদপিষ্ট হয়ে যান একাধিক ভক্ত। ৬ জনের মৃত্যু হয় এই ঘটনায়। গুরুতর আহত প্রায় ১৫ জন। সেখানেও বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ার কথা মুখে মুখে রটে যাওয়ায় তীব্র তঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল নন্দির চত্বরে। সে সময়েই ঘটে এই দুর্ঘটনা।