মহাকুম্ভকে বিশ্বাস ও সংস্কৃতির সঙ্গম বলা হয়। এটি এমন একটি ঘটনা, যা যুগ যুগ ধরে ঘটে আসছে, যা মানুষকে মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত করে। মহাকুম্ভ-২০২৫ প্রয়াগরাজে আয়োজিত হতে চলেছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যাপলর সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবসের স্ত্রী এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী মহিলা লরেন পাওয়েল জোবস প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে আসছেন। বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী লরেনও এখানে কল্পবাস করবেন এবং সাধুদের সান্নিধ্যে সাধারণ জীবনযাপন করবেন। প্রয়াত স্বামী স্টিভের মতো লরেনেরও হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে একটি বিশেষ সংযোগ রয়েছে এবং প্রায়শই এই জাতীয় ধর্মীয় সমাবেশে তাঁর উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। স্বামী কৈলাশানন্দ জি মহারাজ জানিয়েছেন যে লরেন তাঁর কল্পবাস এখানে কাটাবেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হল তাঁর একটি হিন্দু নামও রয়েছে। আধ্যাত্মিক গুরু স্বামী কৈলাশানন্দ জি মহারাজ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, লরিন মহাকুম্ভে আসছেন গুরুর সঙ্গে দেখা করতে। আমরা তাঁকে আমাদের গোত্রও দিয়েছি এবং তাঁর নাম 'কমলা' রেখেছি এবং তিনি আমাদের মেয়ের মতো। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি ভারতে আসছেন। মহাকুম্ভ সবাইকে স্বাগত জানাই।'
লরেন পাওয়েল জোবস এখানে থাকবেন
রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৩ জানুয়ারি লরেন প্রয়াগরাজে আসবেন। ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত রেন এবং তাঁর পরিবার ফোর্বসের বিশ্বের বিলিয়নেয়ারদের বার্ষিক তালিকায় ৫৯ তম স্থানে ছিল। টাইমস ম্যাগাজিন তাঁকে কয়েকবার বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। মহাকুম্ভে লরেন পাওয়েল জোবসের জন্য বিশেষ মহারাজা ডিলাক্স কটেজে করা হয়েছে। তিনি নিরঞ্জনী আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী কৈলাশানন্দের শিবিরে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবেন এবং সনাতন ধর্মকে ঘনিষ্ঠভাবে বোঝার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও, তিনি ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া কথার প্রথম হোস্টও হবেন।
স্টিভ জোবসও সনাতন ঐতিহ্যে বিশ্বাস করতেন ও তাঁর জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক গল্প রয়েছে। যাতে তিনি ভারতীয় সাধুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। এই সাধকদের মধ্যে, বাবা নিম করোলি মহারাজের নাম সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। ১৯৭৪ সালে স্টিভ জোবস বাবা নিম করোলির দরবারে আসেন। এই সফরে নিম করোলি বাবার আশ্রম কাঞ্চি ধামে ছিলেন তিনি। এছাড়াও পরমহংস যোগানন্দের লেখা 'অটোবায়োগ্রাফি অফ আ যোগী' বইটিও তাঁর জন্য বিশেষ ছিল। স্টিভ জোবস অনেক সময়ে এই বইটিকে তাঁর জীবনে পরিবর্তন আনার একটি মাধ্যম বলে জানিয়েছেন।