চোরের বদলে ভুল করে বিচারককেই গ্রেফতার করতে ছুটল পুলিশ, UP-র ঘটনা VIRAL

ত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে পুলিশের এক চাঞ্চল্যকর ভুলে বিচার বিভাগের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। একজন সাব-ইন্সপেক্টর, বানওয়ারিলাল, ফৌজদারি কার্যবিধির (CrPC) ধারা ৮২-এর অধীনে একটি তদন্তে প্রকৃত অভিযুক্তের পরিবর্তে প্রধান বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট নাগমা খানের বাসভবনে তল্লাশি চালান।

Advertisement
চোরের বদলে ভুল করে বিচারককেই গ্রেফতার করতে ছুটল পুলিশ, UP-র ঘটনা VIRAL
হাইলাইটস
  • উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে পুলিশের এক চাঞ্চল্যকর ভুলে বিচার বিভাগের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
  • একজন সাব-ইন্সপেক্টর, বানওয়ারিলাল, ফৌজদারি কার্যবিধির (CrPC) ধারা ৮২-এর অধীনে একটি তদন্তে প্রকৃত অভিযুক্তের পরিবর্তে প্রধান বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট নাগমা খানের বাসভবনে তল্লাশি চালান।

উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে পুলিশের এক চাঞ্চল্যকর ভুলে বিচার বিভাগের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। একজন সাব-ইন্সপেক্টর, বানওয়ারিলাল, ফৌজদারি কার্যবিধির (CrPC) ধারা ৮২-এর অধীনে একটি তদন্তে প্রকৃত অভিযুক্তের পরিবর্তে প্রধান বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট নাগমা খানের বাসভবনে তল্লাশি চালান। এই ভুলে বিচারক নিজেই অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত হন, যা বিচার বিভাগের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক ও উদ্বেগজনক।​

ঘটনার সূত্রপাত ২০১২ সালে দায়ের করা একটি চুরির মামলায়, যেখানে অভিযুক্ত রাজকুমার ওরফে পাপ্পু বারবার আদালতে হাজির হতে ব্যর্থ হন। ফলে ম্যাজিস্ট্রেট খান তাঁকে পলাতক ঘোষণা করেন। তবে বানওয়ারিলাল আদেশটি সঠিকভাবে না পড়ে, ভুলভাবে ম্যাজিস্ট্রেটের নাম অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করেন এবং তাঁর বাসভবনে তল্লাশি চালান।​

এই গুরুতর ভুলের জন্য বিচারক খান কঠোর ভাষায় পুলিশের অবহেলা ও পদ্ধতিগত দুর্বলতার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এই ধরনের অবহেলা মৌলিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে এবং বিচার ব্যবস্থার উপর জনসাধারণের আস্থা নষ্ট করতে পারে। ফলস্বরূপ, আদালত বিষয়টি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নজরে আনার নির্দেশ দেন এবং সাব-ইন্সপেক্টর বানওয়ারিলালকে বরখাস্ত করা হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ এপ্রিল নির্ধারিত হয়েছে।​

এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব ও প্রশিক্ষণের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এটি স্পষ্ট করে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির মধ্যে আরও দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতা জরুরি।

 

POST A COMMENT
Advertisement