scorecardresearch
 

Kolkata to Sikkim Train : ট্রেনে চড়ে সিকিম যাওয়া যাবে কবে থেকে? এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে...

চড়বেন বাংলায় নামবেন সিকিমে! ট্রেনে চড়ে সোজা সিকিম যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বহু ভ্রমণ পিপাসু। কবে শেষ হবে সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ? সেই প্রশ্ন আর কৌতূহল ঘুরপাক খাচ্ছে ভ্রমণ পিপাসুদের মনে। তাদের জন্য সুখবর রয়েছে। সেবক থেকে ট্রেনে ৪৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে রংপো পৌঁছতে হয়তো আর খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। ২০২৫-এর অগাস্টের মধ্যে ভারতীয় রেলের অন্যতম সাহসী এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সিকিম অনেকটাই ঘরের কাছে চলে আসবে বলে জানাচ্ছেন রেলকর্তারা।

Advertisement
 কবে চালু হচ্ছে বাংলা থেকে সিকিম সরাসরি ট্রেন? কবে চালু হচ্ছে বাংলা থেকে সিকিম সরাসরি ট্রেন?

চড়বেন বাংলায় নামবেন সিকিমে! ট্রেনে চড়ে সোজা সিকিম যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন  বহু ভ্রমণ পিপাসু।  কবে শেষ হবে সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ?  সেই প্রশ্ন  আর কৌতূহল ঘুরপাক খাচ্ছে ভ্রমণ পিপাসুদের মনে। তাদের জন্য সুখবর রয়েছে।  সেবক থেকে ট্রেনে ৪৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে রংপো পৌঁছতে হয়তো আর খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। ২০২৫-এর অগাস্টের মধ্যে ভারতীয় রেলের অন্যতম সাহসী এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সিকিম অনেকটাই ঘরের কাছে চলে আসবে বলে জানাচ্ছেন রেলকর্তারা।

প্রসঙ্গত, দেশের সব ক’টা রাজ্যেই ট্রেন চলছে। বাকি ছিল শুধুই সিকিম। এই অবস্থায়  ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সিকিমের রংপো স্টেশনের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। রেলের কর্তারা জানাচ্ছেন, চিন সীমান্তের সঙ্গে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকা এবং রাজনৈতিক ও কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সিকিমে রেলপথ চালু করার কাজটি তিন দফায় হবে। প্রথম দফায় বাংলার সেবক থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ চালু হবে। দ্বিতীয় দফায় রেলপথ বসবে রংপো থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত অংশে। সব শেষে গ্যাংটক থেকে নাথু লা পর্যন্ত অংশে, চিন সীমান্তের খুব কাছের জায়গা পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে। গোটা প্রকল্পটি ২০২৯ সালের মধ্যে শেষ করে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে ভারতীয় রেলকে।

আর এই প্রকল্পের অংশ হিসেবেই ভারতীয় রেলের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় অবস্থিত সেবক-রংপো রেল প্রোজেক্ট (এসআরআরপি)-এর টানেল নং টি-০৪/পি২ (দৈর্ঘ্য ৩৯৪৮ মিটার)-এর অ্যাডিট-এ  সাফল্য অর্জন করা হয়েছে। এই টানেলের সাফল্যের ফলে এই প্রকল্পের সমস্ত অ্যাডিট টানেল খননের কার্যকলাপ সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার হনুমান ঝোরার কাছে  অবস্থিত ৫৯৯ মিটার দৈর্ঘের ইভাকুয়েশন টানেলের পাশাপাশি মূল টানেল টির দৈর্ঘ ৩৯৪৮ মিটার। সেবক-রংপো নতুন রেল সংযোগী প্রকল্পটি প্রায় ৪৫ কি.মি. লম্বা, যা সেবক (পশ্চিমবঙ্গ) ও রংপোকে (সিকিম) সংযুক্ত করবে এবং এতে ১৪টি টানেল, ১৩টি মেজর ব্রিজ, ৯টি মাইনর ব্রিজ ও ৫টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

Advertisement

সবগুলি সেকশনে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই কাজ চালানো হচ্ছে। এটি ভারতের অন্যতম একটি মর্যাদাপূর্ণ নির্মীয়মাণ জাতীয় প্রকল্প এবং প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে প্রথমবারের জন্য সিকিম রেলওয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে যাবে।  প্রকল্পটি শীঘ্র সম্পূর্ণ করতে বর্তমানে টানেল, ব্রিজ ও স্টেশন ইয়ার্ড নির্মাণ সম্পর্কিত সমস্ত কার্যকলাপ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চালানো হচ্ছে। তবে সিকিমের প্রথম রেল স্টেশন তৈরির পথে বিপত্তিও রয়েছে। আবারও সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে এক শ্রমিকের। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১ নম্বর টানেলে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হয় শম্ভু ছেত্রী নামে ৪১ বছরের এক শ্রমিকের।  উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগেই সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজের সময় ১১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর ১৮ এপ্রিল মাথায় বোল্ডার পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিলষ জখম হয়েছিলেন আরও দু'জন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মধ্যে সবক-রংপো রেল প্রজেক্ট সম্পন্ন করার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে তা সম্ভব হয়নি। বারবার ব্যাহত হয়েছে কাজ। একাধিকবার সিকিমে ধস, মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে বন্ধ করে দিতে হয়েছে এই রেললাইন খননের কাজ। এবার নতুন করে ডেডলাইন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে ২০২৫ সালের অগাস্ট মাসকে। সম্পূর্ণ পাহাড়ি পথে এই রেললাইন তৈরির কাজ হচ্ছে। পুরো রাস্তাটাই ঢালু এবং এবড়োখেবড়ো। এছাড়াও রয়েছে নদী। যেখানে মাটি আলগা এবং নরম। ফলে অতি সন্তর্পণে এবং ঝুঁকি নিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। রেল সূত্রে খবর, গোটা রেলপথের বেশিরভাগ অংশেই পাহাড় রয়েছে। সেই পাহাড় কেটে সুরঙ্গ তৈরি করে তার ভেতর দিয়ে রেললাইন পাতা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকা হয়ে এই রেলপথ চলে যাবে সিকিম। ৪৪.৯৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেবকে-রাংপো রেলপথের কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। তখন রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর দীর্ঘ একযুগ পার হয়ে গিয়েছে। তবে শীঘ্রই সেই অপেক্ষার অবসান ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। 
 

Advertisement