
ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স উপ-রাষ্ট্রপতি পদের জন্য নাম ঘোষণা করেছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডিকে প্রার্থী করা হয়েছে। রেড্ডি এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণণের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রেড্ডির নাম ঘোষণা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন যে ইন্ডিয়া জোট সর্বসম্মতিক্রমে তাঁর নাম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি এনডিএ জোটের সিপি রাধাকৃষ্ণণের মুখোমুখি হবেন। বি সুদর্শন রেড্ডির জন্ম ৮ জুলাই ১৯৪৬ সালে। তিনি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারক এবং গোয়ার প্রথম লোকায়ুক্ত ছিলেন। সুদর্শন রেড্ডি অন্ধ্রপ্রদেশের রাঙ্গা রেড্ডি জেলার আকুলা মাইলরাম গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষার পর তিনি ১৯৭১ সালে হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাস করেন।
রেড্ডি তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন দেওয়ানি ও সাংবিধানিক বিষয়ে অনুশীলনের মাধ্যমে এবং অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী কে. প্রতাপ রেড্ডির সঙ্গে কাজ করেছিলেন। এরপর ৮ অগাস্ট ১৯৮৮ সালে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে সরকারি আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত হন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অতিরিক্ত স্থায়ী আইনজীবী হন।
১৯৯৩ সালে, তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট অ্যাডভোকেটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টাও ছিলেন। রেড্ডি ২ মে ১৯৯৩ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। এর পরে, ৫ ডিসেম্বর ২০০৫ সালে, তিনি গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হন। সুদর্শন রেড্ডি ১২ জানুয়ারি ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ৮ জুলাই ২০১১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের পর, তিনি ২০১৩ সালের মার্চ মাসে গোয়ার প্রথম লোকায়ুক্ত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যদিও ব্যক্তিগত কারণে তিনি ২০১৩ সালের অক্টোবরে পদত্যাগ করেন।
সুদর্শন রেড্ডিকে কেন প্রার্থী করা হল?
বিজেপি তামিলনাড়ু থেকে সিপি রাধাকৃষ্ণণকে প্রার্থী করেছে। এটি দক্ষিণের রাজনীতিতে শক্তি বাড়াতে বিজেপির পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কংগ্রেসও এই লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকতে চায় না। সেই কারণেই দল তেলেঙ্গনা থেকে রেড্ডিকে নির্বাচন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সুদর্শন রেড্ডি তেলেঙ্গানায় জাতিগত সার্ভে টিমের প্রধান ছিলেন। তেলেঙ্গনায় জাতিগত সার্ভের কাজ তাঁর নেতৃত্বে সম্পন্ন হয়েছিল। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ক্রমাগত জাতিগত আদমশুমারির বিষয়টি উত্থাপন করছেন। সুদর্শন রেড্ডিকে এনে দল এই প্রচারকে আরও এগিয়ে নিতে চায়।