'অপারেশন সিঁদুর'-এ ছিলেন বলেই সাতখুন মাফ নাকি? স্ত্রীর খুনি জওয়ানকে তুলোধনা কোর্টে

পণের জন্য স্ত্রী-কে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো আত্মসমপর্ণ থেকে অব্যাহতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন নাকচ করে দিল শীর্ষ আদালত।

Advertisement
'অপারেশন সিঁদুর'-এ ছিলেন বলেই সাতখুন মাফ নাকি? স্ত্রীর খুনি জওয়ানকে তুলোধনা কোর্টেSupreme Court
হাইলাইটস
  • স্ত্রী-কে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো আত্মসমপর্ণ থেকে অব্যাহতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন
  • সেই আবেদন নাকচ করে দিল শীর্ষ আদালত

পণের জন্য স্ত্রী-কে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো আত্মসমপর্ণ থেকে অব্যাহতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন নাকচ করে দিল শীর্ষ আদালত। ওই ব্যক্তি কোর্টে জানান, তিনি অপারেশন সিঁদুরেও কাজ করেছেন। কিন্তু আদালত জানায়, অপারেশন সিঁদুরে কাজ করেছেন মানেই তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হবে, এমনটা নয়। 

মঙ্গলবার বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইঞা এবং বিনোদ চন্দ্রনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট ওই ব্যক্তিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেন। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আত্মসমর্পণ থেকে অব্যাহতিও চান। তবে এদিন বিচারপতিরা আবেদন খারিজ করে দেন। 

আদালতে ওই জওয়ানের আইনজীবী জানান, 'আমি কেবল একটি লাইন বলতে পারি, আমি অপারেশন সিঁদুরে অংশগ্রহণকারী। গত ২০ বছর ধরে একজন ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো। রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সঙ্গে যুক্ত।' তবে বিচারপতি ভুঁইঞা সেই আবেদনে কোনও সাড়া দেননি। তিনি বলেন, 'এসব আপনাকে বাড়িতে নৃশংস কাজ করার জন্য ছাড়পত্র দেয় না। বরং আপনি কতটা শারীরিকভাবে সুস্থ, কীভাবে একা স্ত্রীকে হত্যা করতে করেছেন, শ্বাসরোধ করেছেন, তার প্রমাণ দেয়।' 

আত্মসমর্পণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া সম্ভব নয় তা স্পষ্ট করে দিয়ে ওই বিচারপতি আরও বলেন,'এই মামলা অব্যাহতির নয়। আপনি আপনার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। অব্যাহতি হতে পারে তখনই যদি সাজা ৩ মাস, ৬ মাস বা ১ বছর হয়। এক্ষেত্রে তেমনটা নয়।' বিচারপতি বিনোদ চন্দ্রন বলেন, 'হাইকোর্ট আপনার আপিল খারিজ করেছে। আপনি স্পেশাল লিভে আছেন।' 

দোষী ব্যক্তির আইনজীবী কোর্টে জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্ত্রী-কে বাপের বাড়ি থেকে মোটর সাইকেল আনার জন্য চাপ দিতেন তিনি। মৃতার দুই আত্মীয়র সাক্ষীর বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে সাজা দেওয়া হয়। তখন বিচারপতি ভুঁইঞা বলেন, 'আমরা SLP-তে নোটিশ জারি করতে পারি। কিন্তু অব্যাহতি দেওয়া সম্ভব নয়।' 

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের জুলাই মাসে অমৃতসরের একটি ট্রায়াল কোর্ট ওই ব্যক্তিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪-বি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে। মৃতার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০০২ সালের ১৮ জুলাই স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাতে খুন করা হয় তাঁদের মেয়েকে। ট্রায়াল কোর্ট পরিবারের চার সদস্যকে খালাস করে। তবে ওই যুবতীর স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত হন। কিন্তু পরে হাইকোর্ট সাজা স্থগিত করে। আপিল বিচারাধীন থাকায় জেলের বাইরে থাকতে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। তবে প্রায় ২০ বছর পর ২০২৫ সালের মে মাসে হাইকোর্ট আপিল খারিজ করে দেয়। সেই ব্যক্তিকে দোষী রেখে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে যান তিনি।

POST A COMMENT
Advertisement