সুপ্রিম কোর্ট আধার নিয়ে কী বলল?SIR-এর বিরুদ্ধে মামলা শুনছে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার শুরু হয়েছে শেষ পর্বের সওয়াল-জবাব পর্ব। আর সেই মামলা শোনার সময়ই তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, আধার কোনওভাবেই নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।
SIR বিরোধী মামলা শুনছে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ। সেখানে তাঁরা বলেন, 'ফর্ম ৬-এ এন্ট্রি ঠিক না ভুল, সেটা দেখার ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে।' প্রসঙ্গত, এই ফর্ম ভোটার জমা দেয়। তার মাধ্যমেই ভোটার লিস্টে ওঠে নাম।
এই সময় আধার কার্ডের কাজ নিয়েও মতামত দেন বিচারপতিরা। তাদের মতে, আধার কার্ডের কাজ খুবই সীমিত। এই মামলায় প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছিল সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। যেহেতু কাউকে রেশনের জন্য আধার দেওয়া হয়েছে, তাহলে কি তাদের ভোটার করে নেওয়া হবে? ধরা যাক কোনও ব্যক্তি প্রতিবেশী দেশ থেকে এসে এখানে কাজ লেবারের কাজ করছেন, তাকেও কি ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া যায়?'
ইলেকশন কমিশন কি পোস্ট অফিস?
এই মামলায় ইলেকশন কমিশনের পোস্ট অফিসের মতো কাজ করা উচিত বলে যে দাবি উঠেছিল, সেটাও উড়িয়ে দিলেন বিচারপতিরা। বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন, ' আপনারা বলছেন ইলেকশন কমিশন পোস্ট অফিসের মতো যে কোনও ফর্ম ৬ গ্রহণ করবে এবং নাম তুলে দেবে।'
এ দিন শুনানিতে মামলাকারীদের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন কপিল সিব্বল। তিনি দাবি করেন, SIR সাধারণ ভোটারদের উপর বিরাট চাপ তৈরি করছে। যার জন্য একটা বড় অংশ কাগজ নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। তাদের নাম জমা কেটে যাওয়ার রয়েছে আশঙ্কা। তাঁর মতে, এর মাধ্যমে আদতে গণতন্ত্রই বিপদের মুখে পড়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ইলেকশন কমিশন এই ধরনের কোনও কাজ করেনি বলে একটা অভিযোগ রয়েছে। তবেএই বেঞ্চ একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, তার মানে এটা নয় যে তাদের এই প্রক্রিয়াটি করার ক্ষমতা নেই। পাশাপাশি তারা জানান, ভোটারের নাম কাটার জন্য নোটিস দিতে হবে। তারপরই কাটা যেতে পারে নাম বলেও জানিয়েছেন বিচারপতিরা।
পাশাপাশি এ দিন কোর্টের তরফ থেকে বাংলার পৃথক মামলার দিনও ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ৯ ডিসেম্বের বিএলও আত্মহত্যা নিয়ে করা মামলা উঠবে। এই সপ্তাহের মধ্যেই সেই মামলা নিয়ে নিজের বক্তব্য জানাবে ইলেকশন কমিশন বলেও জানা গিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারও এক্ষেত্রে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজের বক্তব্য জানাবে।