অবশেষে খানিকটা স্বস্তি পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির মামলায় কেজরিওয়ালকে শুক্রবার অন্তর্বর্তী জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে যেহেতু সিবিআই মামলায় এখনও জামিন মেলেনি, তাই জেলেই থাকতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন আম আদমি পার্টির প্রধান।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, '৯০ দিনেরও বেশি কারাবাসেলর সাজা ভোগ করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি একজন নির্বাচিত নেতা। এটা ওঁর উপর নির্ভর করছে, উনি এই দায়িত্ব পালন করে যাবেন কিনা।'
গত ২১ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের আগে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। ভোটের আবহে গত মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। গত ২ জুন ফের জেলে ফিরতে হয় কেজরিওয়ালকে।
গ্রেফতারির পর কেজরিওয়াল বলেছিলেন, 'প্রয়োজনে জেল থেকে সরকার চালাব।' এই মুহূর্তে তিহাড় জেলে বন্দি কেজরিওয়াল। প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বলেছিলেন, 'উনি যা করছেন, তা দেশের জন্য ভাল নয়।' ইডির হেফাজত প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল বলেছিলেন, 'যতদিন চায় ইডি আমায় হেফাজতে রাখতে পারে। কিন্তু এটা দুর্নীতি। ইডির দু'টো উদ্দেশ্য রয়েছে। একটা হল আম আদমি পার্টিকে শেষ করা এবং আর একটি হল তোলাবাজির চক্র চালিয়ে টাকা তোলা।' কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তাঁর স্ত্রী সুনীতা বলেছিলেন, 'অরবিন্দ কেজরিওয়াল একজন সিংহ... তাঁকে বেশি দিন আটকে রাখা যাবে না'। সম্প্রতি এই মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে সিবিআইও।
লোকসভা নির্বাচনের আগে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে মমতা লিখেছিলেন, 'অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সুনীতার (কেজরিওয়ালের স্ত্রী) সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলেছি। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছি।' মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছিলেন যে, বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের নিশানা করা হচ্ছে। অথচ, সিবিআই-ইডির তদন্তে যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা গণতন্ত্রের উপর নির্মম আঘাত।