'বিহারে SIR প্রক্রিয়া ভোটার-বান্ধব', বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টেরবুধবার সুপ্রিম কোর্ট বিহারে ভোটার তালিকার স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়াকে ভোটার-বান্ধব বলে অভিহিত করেছে। আদালত বলেছে যে এই প্রক্রিয়ায় শনাক্তকরণের জন্য বৈধ নথির সংখ্যা ৭ থেকে বাড়িয়ে ১১ করা হয়েছে, যাতে ভোটারদের কাছে আরও বিকল্প এসেছে। আধার সম্পর্কিত আপত্তি খারিজ করে আদালত বলেছে যে নথির সংখ্য়া বাড়ার ফলে কোনও ব্যক্তির ভোটার লিস্ট থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা কমবে।
শুনানির সময় আদালত আরও প্রশ্ন উত্থাপন করে যে যদি একটি গণনা ফর্মে একটি আইনি ফর্ম অন্তর্ভুক্ত থাকে, তাহলে কি এটি নিয়ম লঙ্ঘন হবে নাকি এটি আরও ব্যাপক সম্মতি হিসাবে বিবেচিত হবে। আবেদনকারীদের পক্ষে উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি নাগরিকত্ব প্রমাণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান পরিবর্তনের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন যে নির্বাচন কমিশন নাগরিকত্ব প্রমাণের বিষয়ে তার অবস্থান সম্পূর্ণরূপে উল্টে দিয়েছে। একজন ব্যক্তি কেবল তখনই আপত্তি জানাতে পারেন যখন তিনি মনে করেন যে কেউ নাগরিক নয়, তখন ERO নোটিশ জারি করবে। এমন পরিস্থিতিতে, দুই মাসের মধ্যে সমস্ত বড় সিদ্ধান্ত কীভাবে নেওয়া হবে? ডিসেম্বর থেকে SIR শুরু করুন এবং এক বছরে এটি সম্পন্ন করুন, কেউ বিরোধিতা করবে না।
সিংভি বলেন, ফর্ম-৬-এর অধীনে নাম যোগ করার জন্য আধার কার্ড এখনও একটি বৈধ নথি। তিনি বলেন, আগে মনে করা হত যে, তাদের অধিকার প্রমাণ না করা পর্যন্ত সকলকে বাদ দেওয়া হবে, কিন্তু এখন এই ধারণা বদলে গিয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ২০০৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে যাদের নাম যোগ করা হয়েছে, তারাও যদি প্রমাণ দিতে না পারেন, তাহলে বাদ দেওয়া যেতে পারে।
সিংভি এই প্রক্রিয়ার সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন যে, ২০০৩ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক এক বছর আগে SIR করা হয়েছিল। তাহলে কেন জুলাই মাসে বিহারে এটি শুরু করা হচ্ছে? কেন অরুণাচল প্রদেশ থেকে নয়, যেখানে ২০২৬ সালে নির্বাচন? অথবা কেন লাক্ষাদ্বীপ থেকে নয়, যেখানে ২০২৮ সালে নির্বাচন? এই প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য কী?
SIR হল ২০০৩ সালের পর ভোটার তালিকার প্রথম বড় সংশোধন। এর উদ্দেশ্য হল অক্টোবর-নভেম্বরে বিহারে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা সংশোধন করা। নির্বাচন কমিশন বিহার থেকে অযোগ্য ভোটারদের অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়ার অধীনে, ২০০৩ সালের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না থাকা ভোটারদের জন্মস্থানের প্রমাণ এবং নাগরিকত্বের স্ব-ঘোষণাপত্র জমা দিতে হবে। সমালোচকরা বলছেন যে ফর্ম-৬-এ নাগরিকত্বের প্রমাণের কোনও প্রয়োজন নেই, যার কারণে অ-নাগরিকদের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।