রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দেওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। শুক্রবার শুনানিতে রাজ্যকে ৫০ শতাংশ ডিএ দিতে জানায় শীর্ষ আদালত। যা শুনে আপত্তি জানান রাজ্যের আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙভি। তিনি বলেন, এটা বিপুল টাকা। এই পরিমাণ ডিএ দিতে গেলে রাজ্য সরকারের কোমর ভেঙে যাবে।
ঠিক কী জানিয়েছে রাজ্য?
শুক্রবার ডিএ মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে বলে, ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিয়ে দিন। যা শুনে রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙভি বলেন যে, এটা বিপুল পরিমাণ টাকা। এই টাকা দিতে হলে রাজ্য সরকারের কোমর ভেঙে যাবে। এর পাল্টা শীর্ষ আদালত জানায় যে, বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন অগাস্ট মাসে ধার্য করা হচ্ছে। শীর্ষ আদালতকে রাজ্য আরও জানায় যে, এটা কোনও অধিকার নয়। সাংবিধানিক অধিকার নয়। সম্ভব নয়। তবে ২৫ শতাংশ ডিএ দিতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, ডিএ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের লড়াই দীর্ঘদিনের। কেন্দ্রীয় হারে কেন সরকারি কর্মীরা ডিএ পাবেন না, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব সরকারি কর্মীরা।
২০২২ সালের নভেম্বর মাসে রাজ্যের ডিএ মামলা প্রথম সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল।
২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর রাজ্যের ডিএ মামলা প্রথম বার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। কেন্দ্রের হারে এবং বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। ২০২২ সালের মে মাসে হাইকোর্ট কেন্দ্রের সমতুল ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্যকে। তবে হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ওই বছর নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। এই মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থাতেই কয়েক দফায় ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তা কেন্দ্রের সমতুল হয়নি।
এদিন, ডিএ মামলার শুনানি প্রসঙ্গে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'চূড়ান্ত শুনানি হলে আমরাই জিতব'।