Supreme Court on SSC Recruitment: নতুনদেরও কেন পরীক্ষা? সুপ্রিম কোর্টের বড় নির্দেশে SSC ঘিরে ফের জটিলতার আশঙ্কা

নতুন পরীক্ষায় শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়া সহ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য যত মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল, এবার থেকে সেই সব মামলা কলকাতা হাইকোর্টকে শুনবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত৷

Advertisement
নতুনদেরও কেন পরীক্ষা? সুপ্রিম কোর্টের বড় নির্দেশে SSC ঘিরে ফের জটিলতার আশঙ্কা এসএসসি নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
হাইলাইটস
  • 'জটিলতা তৈরি হয়েছে SSC-র জন্যই'
  • কোনও অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া যাবে না
  • বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে একাধিক মামলা

SSC নিয়োগ সংক্রান্ত সব মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। যার নির্যাস, রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা  SSC-র নিয়োগ ঘিরে ফের জটিলতা তৈরির আশঙ্কা। আজ অর্থাত্‍ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি অলোক আরাধ ফের জানান, যোগ্যরা যেন চাকরি থেকে বঞ্চিত না হন। এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, রুল পরিবর্তন করে যোগ্য ও নতুন চাকরি প্রার্থীদের একসঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ার কথা আদালত বলেনি। কিন্তু SSC সেটাই করেছে দেখা যাচ্ছে। নতুন রুল তৈরি করেছে। 

'জটিলতা তৈরি হয়েছে SSC-র জন্যই'

আজ এসএসসি সংক্রান্ত ৪০টিরও বেশি মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে।  দুই বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, ২০২৫ সালের এসএসসি-র নতুন পরীক্ষা সংক্রান্ত সব মামলা শুনবে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি অলোক আরাধের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, 'স্কুল সার্ভিসের ২০১৬ সালের চাকরি বাতিলের নতুন পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, তা স্কুল সার্ভিস কমিশনের জন্যই হয়েছে ৷ ২০২৫ সালে যে পরীক্ষা হয়েছে, সেখানে চাকরি খোয়ানো যোগ্যদের পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন নতুন রুল তৈরি করে পরীক্ষা নিয়েছি। আদালত এটা করতে বলেনি।' নতুন পরীক্ষায় শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়া সহ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য যত মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল, এবার থেকে সেই সব মামলা কলকাতা হাইকোর্টকে শুনবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত৷

কোনও অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া যাবে না

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের SSC নিয়োগ সংক্রান্ত পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি এবং সরকার অনুমোদিত স্কুলগুলির ২৫ হাজার ৭৫২ চাকরি বাতিল হয়ে যায়। এরপর পুনর্বিবেচনার আবেদন জানালে চিহ্নিত যোগ্য শিক্ষকদের ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত ৷ তবে গ্রুপ C ও D পদে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে বলে শিক্ষাকর্মীদের চাকরি সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে যায়৷ মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের কথায়, 'আজ বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এসএসসি কোনও দাগি প্রার্থীকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি দিতে পারবে না ৷ এসএসসি যে বিশেষ ভাবে দাগি প্রার্থীকে পরীক্ষায় স্থান দিয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্ট আগেই তা বাতিল করে দিয়েছে ৷ সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার জানিয়েছে, কোনও অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া যাবে না৷'

Advertisement

বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে একাধিক মামলা

বস্তুত, কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে এই সংক্রান্ত একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে ৷ আগামী ২৮ নভেম্বর সেই মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা ৷ কিন্তু এবার শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণের ফলে নতুন করে জটিলতা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা ৷ 

POST A COMMENT
Advertisement