JEE পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও সময়মতো ফি জমা দিতে না পারার জন্য আইআইটি ধানবাদে ভর্তি হতে পারেনি অতুল কুমার। তাঁকে ভর্তি নেওয়ার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। অনুচ্ছেদ ১৪২-এর অধীনে বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে, অতুলকে আইআইটি ধানবাদে ভর্তি হওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
অতুল কুমার একজন দিনমজুরের ছেলে। উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরের বাসিন্দা। সে শেষ চেষ্টায় জেইই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। তাঁকে ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সুযোগ দেওয়া হয়। তাঁর ভর্তির সময় সীমা ছিল ২৪ জুন। তবে টাকা না থাকার কারণে তিনি ভর্তি হতে পারেননি। আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, অতুল হাল ছাড়েননি। তিনি ঝাড়খণ্ড ও মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সবশেষে যান সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার শুনানির সময়, প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের 'আমরা এমন একজন তরুণ প্রতিভা হারাতে পারি না৷ ওই ছাত্র প্রথমে ঝাড়খণ্ডে যান, তারপরে চেন্নাইতে আইনি পরিষেবা এবং অবশেষে হাইকোর্টে যান৷ একজন দলিত ছাত্রকে প্রতিটি দরজায় ধাক্কা খেতে হয়েছে।'
সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, ওই ছাত্রের বাবার আয় খুব সামান্য। তাঁর পক্ষে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা ব্যবস্থা করা কঠিন। তাঁর বাবা গ্রামবাসীর থেকে এই টাকা সংগ্রহ করে। আইআইটি ধানবাদের আইনজীবী দাবি করেন, ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার অতুল কুমারকে এসএমএস পাঠায়। আইআইটি তাঁকে দুটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের মাধ্যমে অর্থপ্রদানের বিষয়েও জানায়। এই নিয়ে বিচারপতি পারদিওয়ালা আইআইটি ধানবাদকে বলেন, 'আপনি এত প্রতিবাদ করছেন কেন? কেন আপনি একটি উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন না? সিট বরাদ্দের স্লিপ দেখায় যে আপনি তাকে অর্থপ্রদান করতে চেয়েছিলেন?'
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, 'ও একজন দুর্দান্ত ছাত্র। শুধুমাত্র ১৭ হাজার টাকার জন্য তাঁকে থামানো যেতে পারে না।' প্রসঙ্গত, ২৪ জুন বিকাল ৫টায় ফি জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল। অতুলের বাবা-মা বিকাল ৪.৪৫ এর মধ্যে ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে। কিন্তু, তখন পোর্টালের সমস্যা দেখা দেওয়া তা আর হয়নি।
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, 'আমরা নির্দেশ দিচ্ছি যে, এই প্রার্থীকে আইআইটি ধানবাদে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হোক। ফি দিলে তাকে যে ব্যাচে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হত, তাকে সেই ব্যাচেই ভর্তি হতে দিতে হবে। এর জন্য ওই ব্যাচের কোনও ছাত্রকে বাদ দেওয়া যাবে না, একটি সুপারনিউমারারি আসন তৈরি করা হোক।'