গুজরাতের ২ জেলায় ৩ দেশ থেকে আগত ৬ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। নাগরিকত্ব দেওয়া হবে আফগানিস্থান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে গুজরাতের আনন্দ ও মেহসেনায় আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, ফারসি ও খৃষ্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের। এক্ষেত্রে জেলা আধিকারিকদের নাগরিকত্বের সংশাপত্র দেওয়ার অনুমতিও দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA)।
এদিকে গুজরাতের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিকত্ব প্রদানের কাজ শুরু হবে বলে ঘোষণা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, 'এটা তো সিএএ-র অংশ। সিএএ (CAA) তো বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেল। ভারতবর্ষের অংশ পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গেও হয়ে যাবে। সিএএ আইন দুটো সদনেই পাশ করা আছে। আমরা অপেক্ষা করছিলাম। নিশ্চয় রুল তাহলে হয়ে গিয়েছে। এই একই রুলে পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া সমাজ, নমশূদ্র সমাজ, তাঁরা ভিসা করতে গেলে, পারমিট করতে গেলে, চাকরির ক্লিয়ারেন্স নিতে বলা হয়, ৭১-এর আগের দলিল আনো, সেই সমস্যা আর থাকলো না। এক যাত্রায় তো পৃথক ফল হয় না। গুজরাটে যখন বাস্তবায়ন হয়ে গিয়েছে, নিশ্চয় রুল ফ্রেম করে ফেলেছে ভারত সরকার।'
প্রসঙ্গত, সিএএ প্রয়োগ করা হবে বলে বারেবারেই বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী সিএএ প্রয়োগের প্রতিশ্রুতিতেই কার্যত বিগত একাধিক ভোটে রাজ্যের মতুয়াদের একটা বড় অংশের সমর্থন পেয়েছে বিজেপি। যদিও তারপরেও কেন সিএএ প্রয়োগ করা হচ্ছিল না, তা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। এমনকী মাঝেমধ্যে কোথাও কোথাও অসন্তোষের আঁচও পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে মতুয়া-অসন্তোষ আপাতত সামাল দেওয়া যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ।
আরও পড়ুন - কম বয়সেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি, কয়েকটি লক্ষণই বলে দেয়