Swami Chaitanyananda: 'বেবি I Love You, কাছে এসো...' 'মহারাজ' স্বামী চৈতন্যানন্দের সব টেক্সট VIRAL, এখনও পলাতক

যৌন হেনস্থার দায়ে অভিযুক্ত স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতীকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। অবশেষে মিলল একটি সূত্র। জানা গেল, গেরুয়াধারী স্বামী চৈতন্যানন্দ শেষবারের মতো ছিলেন মুম্বইতে। আর এই খবর জানার পরই বাণিজ্য নগরীতে তাঁকে খোঁজার জন্য চলছে একাধিক দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement
'বেবি I Love You, কাছে এসো...' 'মহারাজ' স্বামী চৈতন্যানন্দের সব টেক্সট VIRAL, এখনও পলাতক
হাইলাইটস
  • 'বেবি আই লাভ ইউ, আই অ্যাডোর ইউ'
  • 'তোমায় আজ দারুণ দেখাচ্ছে, আমার কাছে এসো।'
  • এমনই অশালীন মেসেজ পাঠাতেন চৈতন্যানন্দ

যৌন হেনস্থার দায়ে অভিযুক্ত স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতীকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। অবশেষে মিলল একটি সূত্র। জানা গেল, গেরুয়াধারী স্বামী চৈতন্যানন্দ শেষবারের মতো ছিলেন মুম্বইতে। আর এই খবর জানার পরই বাণিজ্য নগরীতে তাঁকে খোঁজার জন্য একাধিক দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এমনকী তিনি যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন, সেই জন্য জারি করা হয়েছে লুক আউট নোটিস। 

বেবি, আই লাভ ইউ
দেশের মানুষের ধর্মগুরুদের প্রতি বিরাট শ্রদ্ধা রয়েছে। আর সেই শ্রদ্ধা ও ভরসারই অপব্যবহার করেছেন গেরুয়া বসনধারী স্বামী চৈতন্যানন্দ। তিনি দিল্লির একটি ম্যানেজমেন্ট কলেজের শীর্ষ স্থানে বসে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ। 

ইতিমধ্যে তাঁর কিছু মেসেজ লিক হয়েছে। সেই ম্যাসেজগুলির বার্তাও যথেষ্ঠ অশালীন। এই যেমন ধরুন, তিনি এক ছাত্রীকে মেসেজ পাঠিয়েছেন যে, 'বেবি আই লাভ ইউ, আই অ্যাডোর ইউ'। তাঁর আরও এক মেসেজের বার্তা হল, 'তোমায় আজ দারুণ দেখাচ্ছে, আমার কাছে এসো।' এছাড়াও তিনি অসংখ্য নোংরা মেসেজ ছাত্রীদের করতেন বলে অভিযোগ। 

দিতেন থ্রেট
এই তথাকথিত গুরুর বিরুদ্ধে থ্রেট দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। আসলে যাঁরা তাঁর মতের বিরুদ্ধে কাজ করতেন, তাঁর কাছে আসতে চাইতেন না, তাঁদের দেওয়া হতো থ্রেট। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে চাইলেও থ্রেট দেওয়া হতো বলে জানা গিয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো আরও এককদম এগিয়ে গিয়ে ছাত্রীদের অ্যাটেনডেন্স কমিয়ে দেওয়া হতো। পাশাপাশি তাঁদের পরীক্ষার নম্বরও ঠিকঠাক দেওয়া হতো না বলে অভিযোগ। 

সিসিটিভি গেম
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সর্বেসর্বা স্বামী চৈতন্যানন্দের বিরুদ্ধে কেউই কথা বলার সাহস দেখাতেন না। যেই কারণে তিনি নিজের মর্জিমতো যা খুশি করতেন। এমনকী ছাত্রীদের হস্টেলেও লাগানো হয়েছিল লুকানো ক্যামেরা। পাশাপাশি তিনি সিসিটিভি-এর মাধ্যমেও পড়ুয়াদের সব গতিবিধির উপর নজর রাখতেন।

রাতে ডাকা হতো ঘরে
অনেক ছাত্রীকে স্বামী চৈতন্যানন্দ রাতে ঘরেও ডাকতেন। কেউ না যেতে চাইলে তার উপর প্রতিহিংসা পরায়ণ ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

ইতিমধ্যেই করা হয়েছে অভিযোগ
আশ্রম ও ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। ৩০০ পাতার প্রমাণও জমা দেওয়া হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তারপর থেকে পুলিশ খুঁজে চলেছেন স্বামী চৈতন্যানন্দকে। শেষ অবধি তাঁকে মুম্বইতে দেখা যায়। যদিও তিনি এখনও পলাতক।


 

POST A COMMENT
Advertisement