স্বামী চৈতন্যানন্দের কুর্কীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়েছে গোটা দেশে। ছাত্রীদের শ্লীলতাহানী এবং মানসিক অত্যাচারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনাপ্রবাহে নতুন ট্যুইস্ট যোগ করেছে এয়ারফোর্স হেডকোয়ার্টারে জমা করা একটি অভিযোগপত্র।
সেই অভিযোগটি করেছেন এয়ারফোর্সের ডিরেক্টর অব এডুকেশনে গ্রুপ ক্যাপ্টেন ব়্যাঙ্কের অফিসার। তিনি ইমেইল করে জানিয়েছিলেন যে স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতীর বিরুদ্ধে SRISIIM-এর কিছু ছাত্রী গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।
৩০০ পেজের প্রমাণ সামনে এসেছে স্বামী চৈতন্যানন্দের বিরুদ্ধে
তথাকথিত 'গুরুজিকে' ছত্রেছত্রে অভিযোগে বিদ্ধ করেছেন ছাত্রীরা। তাঁদের দাবি, হঠাৎ হঠাৎ আজগুবি সব সিদ্ধান্ত নিতেন চৈতন্যানন্দ। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদ করলে দেওয়া হতো থ্রেট। এর পাশাপাশি রাতের বেলায় হোয়াটস অ্যাপ ম্যাসেজও করতেন এই চৈতন্যানন্দ। তাঁদের ডাকা হতো গুরুজির প্রাইভেট রুমে।
২ অগাস্ট আশ্রমের তরফে এয়ারফোর্স হেডকোয়ার্টারে একটি রেসপন্স পাঠানো হয়। সেখানে জানান হয়, ইতিমধ্যেই 'বাবার' বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ৩২০/২০২৫ ফাইল করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এখানেই শেষ নয়, আশ্রমের তরফ থেকে অগাস্ট ৪-৫ আরও একটি অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। সেখানে চৈতন্যানন্দের বিরুদ্ধে নতুন নতুন প্রমাণ তুলে দেওয়া হয়।
যতদূর খবর, হেনস্থা এবং শ্লীলতাহানীর প্রমাণ হিসাবে ৩০০ পাতার একটি অভিযোগপত্র তৈরি করা হয়েছে। সেটা ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও পড়ুয়াদের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করেও এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি আশ্রমের তরফ থেকেও তাঁর বিরুদ্ধে ২৩ জুলাই আরও একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। শুধু তাই নয়, আশ্রমের তরফ থেকে চৈতন্যানন্দর পাওয়ার অব অ্যাটর্নিও কেড়ে নেওয়া হয়। তার বদলে গঠন করা হয় ১১ সদস্যের নতুন গর্ভার্নিং কাউন্সিল।
মহিলাদের নোংরা মেসেজ পাঠাতেন
এফআইএর-এর কপিতে অভিযোগ, আর্থিক ভাবে পিছিয়া থাকা ছাত্রীদের রাতে নিজের কোয়ার্টারে ডাকতেন তিনি। পাশাপাশি মহিলাদের হস্টেলে লুকানো ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এক মহিলা ছাত্রীকে নিজের পছন্দের বিরুদ্ধে গিয়ে নাম বদলাতেও বাধ্য কনেন বাবাজি।
এছাড়া ছাত্রীদের জোর করে বিদেশে নিয়ে যেতেন এই স্বামী। পাশাপাশি তাঁদেরকে 'গুরুজির' প্রাইভেট রুমে যেতে বাধ্য করা হতো।
আর এই কাজে চৈতন্যানন্দ একা নন, বরং তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন সেখানকার কিছু স্টাফ এবং অ্যাসোসিয়েট ডিন সুজাতা। তাঁরা সবাই মিলেই প্রেশার দিতেন স্বামীর কাছে যাওয়ার জন্য।
এই সব বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তদন্ত। স্বামী নিত্যানন্দের খোঁজ করছে পুলিশ।