প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি টিকিয়ে রাখার জন্য টেট পাশ করতে হবে। এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর বিরোধিতায় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য একাধিক আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এবার কোর্টের দ্বারস্থ উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক শিক্ষক ফেডারেশন। কোর্টের কাছে আবেদন করছে উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু সরকারও।
সর্বভারতীয় প্রাথমিক শিক্ষক ফেডারেশন তাদের আবেদনে জানিয়েছে, কোর্টের এই সিদ্ধান্তের জেরে উত্তরপ্রদেশের প্রায় ১.৮৬ লক্ষ শিক্ষক সমস্যার মুখে পড়তে চলেছেন।
সর্বভারতীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুশীল কুমার পান্ডে জানান, শিক্ষকদের যাতে টেট দিতে না হয় সেজন্য কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তবেই শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষিত হবে। না হলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
এদিকে তামিলনাড়ু সরকার কোর্টে জানায়, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে প্রায় তাঁদের রাজ্যের ৪ লাখ শিক্ষকের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে গেলে শিক্ষকশূন্য হয়ে যাবে স্কুলগুলো। আর শিক্ষকরা চাকরি বাঁচাতে টেটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলে শিক্ষা ব্যবস্থাও লাটে উঠবে। ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার মান কমবে, ক্ষতি হয়ে যাবে।
তামিলনাড়ু সরকার কোর্টে যুক্তি দেয়, রাইট টু এডুকেশন আইন প্রয়োগ করা যুক্তিযুক্ত হবে না। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা-সহ একাধিক রাজ্যের ক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগের আইনে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কারণ, সেই সব রাজ্যে প্রশিক্ষিতের তুলনায় অপ্রশিক্ষিত বেশি ছিল।
গত ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানায়, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর যে সব শিক্ষকের পাঁচ বছরের বেশি চাকরি বাকি আছে তাঁদের অবশ্যই দুই বছরের মধ্যে টেট পাশ করতে হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই পরীক্ষায় পাশ করলে শিক্ষকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা বাড়বে।