তামিল সুপারস্টার বিজয়ের নতুন দল তামিলাগা ভেটরি কাজাগমের (TVK) জনসভায় পদপিষ্টের ঘটনায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। করুরে অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ বিজয়কে দেখতে উপচে পড়ে জনতার ভিড়। সেখানে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা গটে। ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯। মৃতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। শতাধিকেরও বেশি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন নির্দেশ দিয়েছেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের যেন সুষ্ঠুভাবে চিকিৎসা হয়। আজ, রবিবার তিনি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন স্ট্যালিন।
করুর দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন। লেখেন, "করুরে রাজনৈতিক সমাবেশের সময় এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি দুঃখজনক। যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের জন্য সমবেদনা রইল।"
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বিজয়ের বয়ানও প্রকাশ্যে এসেছে। এক্স-এ পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, "হৃদয় বিদারক ঘটনা। অসহ্য, অবর্ণনীয় যন্ত্রণা এবং শোকের মধ্যে আছি যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। করুরে প্রাণ হারানো প্রিয় ভাইবোনদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা ও সহানুভূতি প্রকাশ করছি।"
இதயம் நொறுங்கிப் போய் இருக்கிறேன்; தாங்க முடியாத, வார்த்தைகளால் சொல்ல முடியாத வேதனையிலும் துயரத்திலும் உழன்று கொண்டிருக்கிறேன்.
— TVK Vijay (@TVKVijayHQ) September 27, 2025
கரூரில் உயிரிழந்த எனதருமை சகோதர சகோதரிகளின் குடும்பங்களுக்கு என் ஆழ்ந்த அனுதாபங்களையும், இரங்கலையும் தெரிவித்துக்கொள்கிறேன். மருத்துவமனையில் சிகிச்சை…
কীভাবে বিশৃঙ্খলা?
জানা গিয়েছে, বিজয়ের জনসভায় এসেছিলেন লক্ষাধিক মানুষ। এর মাঝেই ৯ বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে নিখোঁজ হয়ে যায়। তাকে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়েই পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। বেশ কয়েকজন হন্তদন্ত হয়ে ওই শিশুকে খুঁজতে থাকে। তখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। টিভিকে প্রধান বিজয়কে বলতে শোনা যায়,'পুলিশ দয়া করে সাহায্য করুন'।
পদপিষ্ট হওয়ার পর, পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে। জলের বোতল বিতরণ করা হয় এবং মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তাদের তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
তামিলনাড়ু সরকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। নিহতদের পরিবারকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রতিটি ব্যক্তিকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।