ফোন ব্যবহার করেছিল ছাত্র। আর সেই দেখেই চটে যান শিক্ষক। ছাত্রকে মারা হয় চড়। টেনে-হিঁচড়ে ফেলে দেওয়া হয়। চলে একের অপর এক লাথি। পড়ুয়ার কোনও কাকুতি-মিনতিই শোনা হয়নি। বরং একাধিকবার অনুরোধের পরও চলে মারধর। আর সেই ভিডিওই বর্তমানে হয়ে গিয়েছে ভাইরাল। যার ফলে থানায় হয় অভিযোগ। তারপর অবশেষে গ্রেফতার করা হল সেই অভিযুক্ত শিক্ষককে।
ঘটনাটি কর্নাটকের চিত্রদুর্গা জেলার নায়কানাহাট্টিতে অবস্থিত শ্রীগুরু থিপ্পরুদ্রস্বামীর আবাসিক বেদ স্কুলের। সেখানে এক ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগে কর্ণাটকের এক শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কী দেখা যায় ভিডিওতে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ভিডিওটি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষক বীরেশ হিরেমথ নামের ওই শিক্ষক একজন ছাত্রকে অন্য ব্যক্তির মোবাইল ফোন ব্যবহার করার জন্য মারধর করছেন। ছাত্রটি বারবার ক্ষমার জন্য অনুরোধ করে। তারপরও চলে মারধর। আর সেই ঘটনাতেই অবশেষে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হল। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে নয়নহাট্টি থানা পুলিশ।
৮ মাস আগের ঘটনা
এখন গ্রেফতার করা হলেও ঘটনাটি ঘটেছিল ৮ মাস আগে। কিন্তু ঘটনাটি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। যতদূর খবর, ঘটনার পর ওই পড়ুয়া ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে স্কুল ছেড়ে চলে যায়।
কী বললেন এসপি?
এই প্রসঙ্গে চিত্রদুর্গার এসপি রঞ্জিত কুমার বলেছেন, 'শিক্ষককে কালাবুরাগী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে তাঁর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। বীরেশকে আদালতে হাজির করা হবে। তদন্তের পরে আরও বিশদ জানান হবে।'
আরও এক জায়গাতেও একই ঘটনা
মাগাদি রোডের সুনকাদাকাট্টে একটি বেসরকারী স্কুলের বিরুদ্ধেও পুলিশ এমনই একটি মামলা দায়ের করেছে। ১৪ অক্টোবর পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রকে মারধর এবং একটি ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ছেলেটির মায়ের অভিযোগ, অধ্যক্ষ রাকেশ কুমার এবং শিক্ষিকা চন্দ্রিকা তার ছেলেকে পিভিসি পাইপ দিয়ে মারে। তারপর সন্ধ্যা পর্যন্ত একটি ঘরে আটকে রাখে। পুলিশ ইতিমধ্যেই অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তিনি পরে জামিন পেয়েছেন।