পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ে কেন্দ্র সরকারের তরফে সাহস, রণনীতি এবং পারদর্শিতার অভাব ছিল বলে অভিযোগ তুললেন তেলিঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। হায়দ্রাবাদে জয় হিন্দ যাত্রার শুরুতে একটি জনসভা থেকে তিনি বলেন, 'দুই দেশের সংঘর্ষকে রাজনৈতিক দিক থেকে দেখছে BJP। সংঘর্ষের পরিণতি কী হল, তা নিয়ে চুপ মোদী সরকার। চার দিনের যুদ্ধের পর কী হল? কে আত্মসমর্পণ করল? আমরা কিছুই জানি না।' যুদ্ধের সমাপ্তির ঘোষণা ভারতের বদলে কেন আমেরিকা করবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রেবন্ত রেড্ডি। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হলে এতদিনে PoK ভারত ফিরিয়ে আনতে পারত।
সংঘর্ষ শুরুর আগে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল, তাহলে সংঘর্ষবিরতির পর কেন তা হল না? প্রশ্ন তুলেছেন রেবন্ত রেড্ডি। তেলিঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, 'যখন আমাদের প্রয়োজন ছিল, তখন ডেকে পাঠালেন। কিন্তু সংঘর্ষবিরতির সময়ে আমাদের জানানো হল না।'
তেলিঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, 'পাকিস্তান কতগুলি রাফাল জেট ধ্বংস করেছে? কেন এই বিষয়ে কেউ কথা বলছে না?' বারবার দাবি ওঠা সত্ত্বেও পাকিস্তানের কব্জায় থাকা অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত না আনতে পারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ইন্দিরা গান্ধীর শাসনকালের সঙ্গে তুলনা টেনে রেবন্ত রেড্ডি বলেন, 'যুদ্ধ মানে শুধু ভাষণ দেওয়া নয়। সাহস, সংকল্প এবং রণনীতির পরিচয়। আমেরিকা যখন পাকিস্তানের সমর্থন করেছিল, তখন ইন্দিরা গান্ধী নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন এবং ভারত ১৯৭১-এর যুদ্ধে জিতে গিয়েছিল। কেবলমাত্র জয় ছিনিয়ে আনাই নয়, পাকিস্তান ভাগ হয়ে বাংলাদেশেরও জন্ম হয় সে সময়ে। আজ চিন আমাদের ৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গায় কব্জা করে নিয়েছে। কর্নেল সুরেশ বাবুকে হত্যা করেছে। অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী চুপ করে রয়েছেন।'
রেবন্ত রেড্ডি আরও বলেন, 'যদি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হতেন তাহলে এতদিনে PoK ফেরত নিয়ে আসতেন। বাতিল হওয়া ১ হাজার টাকার নোটের মতো অচল প্রধানমন্ত্রী মোদী। আমাদের রাহুল গান্ধীর মতো নেতার প্রয়োজন রয়েছে। মোদী কখনও যুদ্ধ জিততে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রীর পদে বসলে রাহুল গান্ধীই কেবল তা করতে পারবেন।' রাষ্ট্রের স্বার্থেই সংঘর্ষের সময়ে কেন্দ্রের পাশে ছিল কংগ্রেস।