
৫ রাজ্যের ভোটের ফল প্রকাশ হতেই বিধায়ক কেনা-বেচার রোখার তোড়জোড় শুরু করে দিল কংগ্রেস। কেসিআর-এর ভারত রাষ্ট্র সমিতি (BRS)-কে সরিয়ে কুর্সি দখলের পথে কংগ্রেস। যার নির্যাস, তেলঙ্গানা যাতে কোনও ভাবে শেষ মুহূর্তে হাত-ছাড়া না হয়, তার জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। তেলঙ্গানার জয়ী কংগ্রেস বিধায়কদের একত্রে রাখতে হায়দরাবাদ পাড়ি দিলেন শিবকুমার সহ কর্নাটকের ১০ জন মন্ত্রী।
কংগ্রেস বিধায়কদের একত্রে রাখার তোড়জোড়
সূত্রের খবর, কংগ্রেস হাইকম্যান্ড শিবকুমারকে এগজিট পোলের ফল প্রকাশের পরেই তেলঙ্গানার কংগ্রেস নেতাদের একত্র রাখার নির্দেশ দেয়। ইন্ডিয়া টুডে সহ একাধিক এগজিট পোলের রেজাল্টে তেলঙ্গানায় কংগ্রেসের জয়ের ইঙ্গিত স্পষ্ট ছিল।
তেলঙ্গানার জয়ী বিধায়ক ও নেতাদের একসঙ্গে রাখার ব্যবস্থা করছে কংগ্রেস। প্রতিটি বিধায়ককে নিরাপত্তা ও নজরদারির ব্যবস্থা করেছে কংগ্রেস। যাতে একজন বিধায়কও হাতছাড়া না হয়। হায়দরাবাদের বিলাসবহুল তাজ কৃষ্ণ হোটেলে একাধিক বাসের ব্যবস্থা করে ফেলেছে কংগ্রেস। ওই বাসেই জয়ী বিধায়কদের আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
'বিধায়কদের উপর আস্থা আছে'
কংগ্রেসের 'সমস্যা-সমাধান' হিসেবে পরিচিত ডি কে শিবকুমার জানিয়েছেন, কংগ্রেসের প্রতিটি বিধায়কের উপরে পূর্ণ আস্থা রয়েছে। শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস দলকে ভাঙা অসম্ভব। তাহলে কি তেলঙ্গানার জয়ী বিধায়কদের কর্নাটকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এই প্রশ্নে শিবকুমার জানান, না এরকম কোনও পরিকল্পনা নেই। তাঁর কথায়, 'ওঁদের কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই। অন্য দলের কিছু লোক তেলঙ্গানার কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব স্থানীয় ভাবেই সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছেন।'
তেলঙ্গানায় কংগ্রেসের জয়ের ইঙ্গিত ছিল
India Today-Axis My India exit poll-এর রেজাল্টে বলা হয়েছিল, তেলঙ্গানায় কংগ্রেস ৪২ শতাংশ ভোট পাবে ও ৬৮টি আসন। কেসিআর-এর বিআরএস ৩৬ শতাংশ ভোট ও ৩৯টি আসন পাবে।
বস্তুত, দক্ষিণ ভারতে এবারও ঢুকতে পারল না বিজেপি। কর্নাটকের পর তেলঙ্গানাতেও বিজেপি-র হারল।