
কোল্ডরিফের পাশাপাশি তেলঙ্গানায় নিষিদ্ধ হল দু'টি সিরাপ। সেই রাজ্যে Relife সিরাপ এবং Respifresh TR সিরাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই দুই সিরাপে বেশি পরিমাণে ডাইথাইলিন গ্লাইকোল(DEG) মেশানো রয়েছে বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশের ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি। সেই মতো রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে তেলঙ্গানায়। তার পরই নড়েচড়ে বসল সেই রাজ্যের সরকার। তাদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই এই দুই সিরাপের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
সিরাপ বিতর্ক চলছেই
আসলে ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশে বিষাক্ত Coldrif সিরাপ খেয়ে প্রাণ হারিয়েছে অনেক শিশু। তার পর থেকে সারা দেশেই কাফ সিরাপ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে চর্চা। বিশেষত, কোল্ডরিফ সিরাপ ব্যবহারে করা হয় বারণ। কারণ, এই সিরাপটি খেয়েই প্রাণ হারায় ২০ শিশু। তার পর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোল্ডরিফ সিরাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়। তাই বর্তমানে সারা দেশেই এই সিরাপ ব্যবহার বন্ধ রয়েছে বলে খবর।
গঠন হয়েছে SIT
এই মৃত্যুর পর থেকেই বেশ নড়েচড়ে বসেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। তাদের তরফ থেকে গঠন করা হয়েছে সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দল। তারা এই মৃত্যুর নেপথ্য কারণ জানতে তদন্ত করছে।
প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা যায় যে এই সিরাপটি অত্যন্ত বেশি পরিমাণে ডাইথাইলিন গ্লাইকোল নামক একটি উপাদান মেশানো রয়েছে। আর এই রাসায়নিক অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর জন্য কিডনির ফেলিয়র পর্যন্ত হতে পারে। আর সেই কারণেই শিশুগুলির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
জবাব চেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
কোল্ডরিফ কাফ সিরাপ নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে সারা বিশ্বে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে যে ঠিক কোন কোন দেশে পাঠানো হয়েছো কোল্ডরিফ সিরাপ। সেই অনুযায়ী, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। জারি করতে হবে World Medical Product Alert। এর মাধ্যমেই এই সিরাপের ব্যবহার দ্রুত বন্ধ করা সম্ভব। এড়ানো সম্ভব শিশু মৃত্যুর আশঙ্কা।
২০ শিশুর গিয়েছে প্রাণ
কোল্ডরিফ সিরাপ খেয়ে ২০ শিশু প্রাণ হারিয়েছে বলেই খবর। ও দিকে মধ্যপ্রদেশের চিন্নাওয়াড়ায় আরও ৬ শিশু এই সিরাপ খেয়ে অসুস্থ। তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নাগপুরে তাদের চিকিৎসা চলছে।
তাই এমন পরিস্থিতিতে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রক মিটিং করে এই সিরাপ ব্যবহার বন্ধ করতে বলেছে।