পাকিস্তানকে কোনও মতেই মাথা তুলতে দেবে না ভারত। একটা আঘাত এলে পাল্টা দশ গুণ বেশি প্রত্যাঘাতের জন্য তৈরি নয়াদিল্লি। আর তাই এবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হল ভারতের সেনাপ্রধানকে।
রাজনাথ সিংয়ের মন্ত্রক শুক্রবার সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীকে টেরিটোরিয়াল আর্মিকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশের উত্তর এবং পশ্চিম সীমান্তে। অতএব সেই এলাকায় প্রয়োজনীয় যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের জন্য মোতায়েন করতে বলা হয়েছে টেরিটোরিয়াল আর্মিকে।
টেরিটোরিয়াল আর্মি রুলস, ১৯৪৮ -এর ৩৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার সেনাপ্রধানকে অনুমোদন দিয়েছে, যে কোনও মুহূর্তে, যে কোনও সেনা অফিসারকে তিনি গুরুদায়িত্ব দিতে পারবেন। সীমান্তে নিরাপত্তা থেক শুরু করে সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণরূপে সহায়তার জন্য ব্যবহার করা যাবে টেরিটোরিয়াল আর্মিকে।
এ দিন সেনাবাহিনীর তিন প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেনাপ্রধান অনিল চৌহান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আর্মি চিফ জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এবং নেভি চিফ অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী। তারপরই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, এখন থেকে টেরিটোরিয়াল আর্মির যে কোনও অফিসার বা জওয়ানকে কাজে লাগাতে পারবে ভারতীয় সেনা। তা টহল দেওয়ার কাজে হোক কিংবা অন্য কোনও প্রয়োজনে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠক করেন আইবি চিফ তপন ডেকার সঙ্গেও। আলাদা করে দেখা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও।
টেরিটোরিয়াল আর্মি ভারতের সেনাবাহিনীর একটি সহায়ক সামরিক সংস্থা। এটি স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে গঠিত এবং নিয়মিত সেনাবাহিনীর জন্য একটি দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা লাইন হিসেবে কাজ করে। টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্যরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, জনগণের পরিষেবা রক্ষণাবেক্ষণ, এবং জরুরি পরিস্থিতিতে সহায়তা করার মতো কাজ করে। টেরিটোরিয়াল আর্মি দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে বা জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করে। টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্যরা সাধারণত প্রতি বছর কয়েক দিনের জন্য ইউনিফর্ম পরে কাজ করেন, যাতে তাঁরা জাতীয় জরুরি পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষার জন্য অস্ত্র তুলে নিতে পারেন।