শুক্রবার বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ মামলায় পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে NIA। উভয় অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর তদন্তকারী সংস্থা তাদের কলকাতার আদালতে হাজির করে। তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের পর উভয়কেই শনিবার আদালতে আবার হাজির করা হয়। দুই অভিযুক্তকে ১০ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এখন তথ্য আসছে যে এখন অভিযুক্তদের বিস্ফোরণস্থলে নিয়ে যাওয়ার পরে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং স্পট তদন্ত করা হবে। এছাড়াও, অভিযুক্তদের বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইয়ের যেখানে তারা থেকেছিল সেখানেও নিয়ে যাওয়া হবে।
বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণ মামলায় NIA দ্বারা দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছেন যে আমি NIA এবং কর্নাটক পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। তারা কলকাতা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে এবং এখন তাদের বেঙ্গালুরুতে নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত শেষ করা হোক। এরপরই সব কিছু মানুষের সামনে প্রকাশ করা হবে।
অভিযুক্তরা কি বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল?
এই বিষয়ে কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বরা বলেছেন, 'আমরা তদন্ত শুরু করেছি। সমস্ত ইনপুট এনআইএর সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছিল। আমাদের পুলিশ খুব ভাল ইনপুট শেয়ার করেছে। আসলে, অভিযুক্ত যে ক্যাপটি পরেছিল তা চেন্নাই থেকে কেনা হয়েছিল। তারা অন্য কোথাও পালিয়ে যেতে চেয়েছিল কি না। ওই পক্ষের (বাংলাদেশ) কেউ তাদের পালাতে সাহায্য করছে কি না তা তদন্তে বের হবে। সময় হলেই সব জানা যাবে।'
NIA উভয় অভিযুক্তকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে এসেছে
শুক্রবার NIA জানিয়েছে যে অভিযুক্ত আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন শাজিবকে কলকাতা থেকে প্রায় ১৯০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্রতীরবর্তী পর্যটন শহর দিঘার একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ত্বহা ছিল বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মূল পরিকল্পনাকারী এবং শাজিব ক্যাফেতে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) স্থাপন করেছিল। সংস্থাটি আরও বলেছে যে এনআইএ গত পাঁচ বছর ধরে বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রকারী আবদুল মাথিন ত্বহাকে খুঁজছিল।
১ মার্চ বেঙ্গালুরুতে রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণে ৯ জন আহত হন। পুলিশ সূত্র জানায়, টাইমার ব্যবহার করে ক্যাফেতে আইইডি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। ক্যাফেতে বিস্ফোরণের একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশিত হয়েছে, যাতে একজন মুখোশ এবং ক্যাপ পরা ব্যক্তি বাস থেকে নেমে ক্যাফেতে যায়। এরপর ক্যাফেতে ব্যাগ রেখে সে ফিরে আসে। অভিযুক্তরা চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ক্যাফেতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে অনেক ধুমধাম করে ক্যাফেটি আবার খুলে দেওয়া হয়েছে।