প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন সফর সেরে ফেরার পরেই দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে। সম্ভবত ১৩ ফেব্রুয়ারির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে বলে রবিবার সূত্র জানিয়েছে। কারণ দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বাছতে বিজেপিতে জোর আলোচনা চলছে। ২৭ বছর পরে বিজেপি দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে তারা জয় পেয়েছে। আম আদমি পার্টি মাত্র ২২টি আসনে জয়লাভ করেছে। যখন দলের প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মনীশ সিসোদিয়া-সহ আপের শীর্ষ নেতারা হেরেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী পদের মুখ ঘোষণা না করেই নির্বাচনে লড়েছিল বিজেপি। এখন বিপুল জয়ের পরে সরকার গঠনের তোড়জোড় চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বাছতে আলোচনা শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ৫ জন।
নিউ দিল্লি আসনে কেজরিওয়ালকে হারিয়ে জায়ান্ট কিলার হিসেবে আবির্ভূত প্রবেশ ভার্মা দিল্লিতে সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়াও দৌড়ে রয়েছেন দিল্লি বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বিজেন্দর গুপ্ত। সতীশ উপাধ্যায়, আশিস সুদ, জিতেন্দ্র মহাজনও রেসে রয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের জন্য ১২-১৩ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর। প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ থেকে ফিরে আসার পরে বিজেপি সরকার গড়ার দাবি জানাতে পারে। দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা বলেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করার সিদ্ধান্ত দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেবে। নতুন মুখ আনা হতে পারে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য একজন মহিলাকেও বেছে নেওয়া হতে পারে। কারণ অতীতে বহুবার মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ে চমক দিয়েছে বিজেপি। শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী দলের সদর দফতরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী এবং সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করেছেন কি না তা স্পষ্ট নয়।