কৃষকেরা (Farmers) তাঁর ভগবান (God)। টুইটে (Tweet) এ কথা জানালেন অভিনেতা সোনু সুদ (Sonu Sood)। তাঁদের আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। লকডাউন এর সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। তাঁর ভূমিকার প্রশংসা করেছিল তামাম ভারত।
নতুন কৃষি বিল বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ শুরু করেছেন কৃষকেরা। পাঞ্জাবের প্রতিবাদী কৃষকেরা চলে এসেছেন দিল্লিতে। তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বিভিন্ন ভাবে। রাস্তা কেটে, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে, জল-কামান ব্যবহার করে। প্রথমে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করে হরিয়ানা সরকার, পরের দিল্লি পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই হার মানেননি তাঁরা। যেন সব বাধা পেরিয়ে এগিয়ে চলেছেন।
তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন অভিনেতা সোনু সুদ। টুইটারে তিনি লিখেছেন। কৃষক আমার ভগবান।
কৃষকদের এই আন্দোলনকে সমর্থনে জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। আন্দোলনকারীদের জন্য বিভিন্ন অঞ্চলে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী কৃষক সংগঠনগুলির কাছে প্রস্তাব দিয়েছে আলোচনা করার জন্য।
দিল্লি চলো অভিযানের সময় কৃষকদের ওপর 'হামলার' ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর টুইটে একে অপরকে দুষেছেন। অমরিন্দরের দাবি, হরিয়ানা সরকার মানুষের সাংবিধানিক অধিকারকে দমন করার চেষ্টা করছে। তাঁকে পাল্টা দিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নয়া কৃষি আইনের সমর্থনে গলা ফাটিয়েছেন। এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে সস্তা রাজনীতি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কৃষকদের বিক্ষোভের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আক্রমণ করলেন। তাঁর কথায়, যখনই সত্যের সঙ্গে অহঙ্কারের সংঘর্ষ হয়, পরাজিত হয় অহঙ্কার। প্রধানমন্ত্রীর তা মনে রাখা উচিত ছিল। বিশ্বের কোনও সরকারই কৃষকদের সত্যের লড়াই থামাতে পারে না। কৃষকদের দাবি মেনে নিতে হবে সরকারকে এবং কালো আইন প্রত্যাহার করতে হবে।
শিরোমনি অকালি দলের নেতা সুখবীর সিং বাদল প্রতিবাদীদের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন। তাঁর মতে, এটা হল পঞ্জাবের ২৬/১১। তিনি বলেন, আমরা দেখছি গণতান্ত্রিক অধিকারকে কীভাবে নষ্ট করা হচ্ছে। কৃষি বিলের বিরোধিতার কারণে এনডিএ ছেড়ে আসে অকালি দল।
পঞ্জাবের এক প্রতিবাদী কৃষক জানান, হরিয়ানা পুলিশ এমন আচরণ করছে, যা নিন্দাযোগ্য। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে দমনের চেষ্টা করছে। আমরা তো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছি। কিন্তু আমাদের যেভাবে আটকানো হচ্ছে, তা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে বাধা দেওয়া। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল হরিয়ানা পুলিশের আচরণের সমালোচনা করেছে।