নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলশুক্রবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে এসআইআর নিয়ে বৈঠকের পর ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। ২ ঘণ্টা বৈঠকের পরও তাঁদের প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে দাবি করেছেন ডেরেক ও ব্রায়েনের নেতৃত্বে তৃণমূলের ১০ সদস্য়ের প্রতিনিধি দল।
এদিন নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকে বেরিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি বলেন, "আমরা এদিন কমিশনকে ৫টি প্রশ্ন করেছিলাম। কিন্তু কমিশন একটি প্রশ্নেরও সদুত্তর দিতে পারেনি।" বিস্ফোরক উক্তি করে ডেরেক জানান, " এসআইআর-এর কাজ করতে গিয়ে মৃত ৪০ জন বিএলও-এর নামের তালিকা নির্বাচন কমিশনের দফতরে জমা দিয়েছি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের হাতে এই মৃত্যুর রক্ত লেগে আছে।"
ডেরেকের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শতাব্দী রায়ও। বীরভূমের সাংসদ এদিন বলেন, "দু'ঘণ্টা আমাদের বৈঠক হয়েছে। এরমধ্যে জ্ঞানেশ কুমার নিজে আমাদের সঙ্গে ১ ঘণ্টা কথা বলেছেন। অনেক গল্পগুজব শুনিয়েছেন। কিন্তু আমরা যে পাঁচটি প্রশ্ন রেখেছিলাম। কিন্তু পাঁচটির কোনও উত্তরই দিতে পারেননি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।"
তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের তরফে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁরা এসআইআর স্থগিত করার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি, এসআইআর-এর কাজ করতে গিয়ে মৃত ৪০ জন বিএলও-এর নামের তালিকাও নির্বাচন কমিশনের দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে। এই মৃত্যুতে কে দায় নেবে? সেই প্রশ্ন তুলেও সরব হন ঘাসফুলের প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, এবার দিল্লির বুকে SIR বিরোধী আন্দোলনে নামবে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যে ১০ সাংসদকে নিয়ে একটি দলও গড়ে দেন তিনি। দিল্লিতে গিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশও দেওয়া হয় তাঁদের। ১০ জনের এই দলে রয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েন, শতাব্দী রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকাশ চিক বরাইক, দোলা সেন, মহুয়া মৈত্র, প্রতিমা মণ্ডল, সাজদা আহমেদ, মমতাবালা ঠাকুর, সাকেত গোখলে। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ এই প্রতিনিধি দলই বৈঠক করে নির্বাচন কমিশনের দফতরে।