
ত্রিপুরায় তৃণমূলের সদর দফতরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ল। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের তরফেই পূর্ব আগরতলা থানায় পৌঁছে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
সেই অভিযোগপত্রে তৃণমূলের দাবি, অস্ত্র হাতে নিয়ে একদল দুষ্কৃতী পার্টি অফিসের সামনে এসে জড় হয়। তার পর চলে ভাঙচুর। আর এই সব কাণ্ডের পিছনে রয়েছে বিজেপি। তাদের চিহ্নিতও করা গিয়েছে।
আসলে উত্তরবঙ্গের দুর্যোগের পর নাগরাকাটায় গিয়ে আক্রান্ত হন এমপি খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই হামলার অভিযোগের তির ছিল তৃণমূলের দিকে। আর ঠিক তার পরই ত্রিপুরায় তৃণমূলের সদর দফতরে হামলা হয়। সেই হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
সেই খবর জানার পরই তৎপর হয়ে ওঠে রাজ্য তৃণমূল। তাদের পক্ষ থেকে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল বুধবারই আগরতলায় গিয়েছেন। সেই দলে রয়েছেন কুণাল ঘোষ, প্রতিমা মণ্ডল, সায়নী ঘোষ, বীরবাহা হাঁসদা, সুস্মিতা দেব ও সুদীপ রাহা।
বিতর্ক চলছেই
ত্রিপুরা যাওয়ার আগেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে কুণাল ঘোষ বিজেপির উপর ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁর মতে, এমনটা বাংলায় হয় না। এটা শুধু ত্রিপুরাতেই সম্ভব। শুধু তাই নয়, সেখানে যাওয়ার পরও হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।
সেখানে গিয়েও বিস্তর নাটক
ত্রিপুরায় পৌঁছানোর পরও গাড়ি পাওয়া নিয়ে একপ্রস্থ নাটক হয়। তৃণমূলের প্রতিনিধি দল অভিযোগ করে, সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে প্রশাসন। এমনকী এয়ারপোর্টে উপস্থিত কোনও ট্যাক্সিও চাপের কাছে নতি স্বীকার করে তাদের নিয়ে যেতে চায়নি বলে অভিযোগ। সেই কারণে তারা সেখানেই বসে পড়েন ধর্নায়।
এ দিকে সমস্যার কথা শোনার পর বিজেপিকে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজেই সেখানে চলে যেতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন।
যদিও কিছুটা সময় কাটার পরই প্রশাসনের নজরদারিতেই এয়ারপোর্ট থেকে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে যায় প্রতিনিধি দল। তারপর দিনভর দেখা করেন একাধিক প্রশাসনিক কর্তার সঙ্গে।
আজ করা হল অভিযোগ
প্রতিনিধি দল কাল পৌঁছে গেলেও মৌখিক অভিযোগ ছাড়া কিছুই করা হয়নি। বরং আজ সেই দলের পক্ষ থেকে হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হল।
বিজেপি কোনও অভিযোগই মানতে রাজি নয়
তৃণমূল ত্রিপুরায় কোনও ফ্যাক্টরই নয়। তাই ওখানে অবস্থিত তৃণমূলের কার্যালয় বিজেপি ভাঙেনি বলেই দাবি করা হয়েছে।