মহুয়া মৈত্রকে সরকারি বাংলো খালি করার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তাকে আরেকটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, তিনি বাংলো খালি না করলে তার বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করা হবে এবং তাকে বাংলো খালি করতে বাধ্য করা হবে। উল্লেখ্য যে, সংসদ পদ যাওয়ার পরে, মহুয়া মৈত্র সরকারি বাংলো খালি করার জন্য বেশ কয়েকটি নোটিশ পেয়েছেন।
তা সত্ত্বেও তিনি সরকারি বাংলো খালি করেননি। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সংসদের সদস্যপদ হারানোর পরে, তিনি আর এই বাংলোটির জন্য যোগ্য নন, তাই তাকে 9B টেলিগ্রাফ লেনে টাইপ ৫ বাংলোটি খালি করতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী তাকে বাংলো খালি করার জন্য এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে এর মধ্যে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হলেও সেখান থেকেও সুবিধা পাননি।
মহুয়ার উচিত অবিলম্বে সরকারি বাংলো খালি করা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহুয়াকে অবিলম্বে সরকারি বাংলোটি খালি করতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সাংসদ পদ যাওয়ার পরে এক মাসের সময়সীমা শেষ হতে ৭ জানুয়ারি তার জন্য বরাদ্দ বাংলো বাতিল করা হয়েছিল। মহুয়া মৈত্রকে সরকারি বাংলো খালি করার জন্য একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখনই বাংলো খালি না করলে সেখান থেকে তাকে উচ্ছেদ করা হবে এবং প্রয়োজনে এ জন্য বলপ্রয়োগও করা হবে। Directorate of Estates তাকে এই নোটিশ পাঠিয়েছে।
কখন সরকারি বাংলো খালি করতে হয়?
টেলিগ্রাফ লেনে একটি সরকারি বাংলো পেয়েছিলেন টিএমসি নেত্রী মহুয়া মৈত্র। আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্যপদ ছাড়ার পর সংসদ সদস্যরা এক মাস সরকারি বাসভবন রাখতে পারেন। এর পর তাদের বাংলো খালি করতে হবে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সরকারি বাসভবন থেকে অননুমোদিত ব্যক্তিদের উচ্ছেদের ৩ দিন আগে এস্টেট অফিসার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে পারেন। আগে এই মেয়াদ ছিল ৬০ দিন। মহুয়া মৈত্র সংসদে প্রশ্ন করার জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগে তার সংসদ সদস্যপদ হারান।