আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডি-র জারি করা সমনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে জানান, আর্থিক তছরুপ মামলায় PMLA-তে অভিযুক্তকে তলব করার কোনও নির্ধারিত পদ্ধতি নেই।
সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে মামলা লড়েন। তাঁর সওয়াল, অভিযুক্তকে তলব করার জন্য আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি পদ্ধতি থাকতে হবে। কিন্তু তা নেই।
বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী ও সতীশ চন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। সেখানে কপিল সিব্বল বলেন, 'পিএমএলএ-তে কোনও পদ্ধতি নেই। এই পদ্ধতির অভাব একটা পদ্ধতিতে পরিণত হয়েছে। কোনও পিএমএলএ-তে সাক্ষী বা অভিযুক্তকে তলব করার কোনও পদ্ধতি নেই। সরকারকে দেখাতে হবে যে এমন একটি পদ্ধতি রয়েছে যা তারা অনুসরণ করছে। সরকারকে প্রমাণ করতে হবে সেই পদ্ধতি আইনসিদ্ধ ও যুক্তিসম্মত।'
সিব্বল বলেন, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ED চাইলেই কোনও ব্যক্তিকে যে কোনও জায়গায় তলব করতে পারে কিনা। এটা কিন্তু মৌলিক অধিকার হরণের সামিল। সিব্বল আরও বলেন, পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করে এটা নিয়ে বিবেচনা করা দরকার। কলকাতায় ইডি-র পূর্বাঞ্চলীয় অফিস থাকা সত্ত্বেও কেন অভিষেককে দিল্লিতে তলব করা হচ্ছে, তাও জানতে চান আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে একাধিকবার অভিষেককে দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে তলব করা হয়েছিল, তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
CBI ২০২০ সালের নভেম্বরে একটি এফআইআর-এর ভিত্তিতে ইডি পিএমএলএ-র অধীনে একটি মামলা দায়ের করে। স্থানীয় কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝি মামলার প্রধান সন্দেহভাজন বলে অভিযোগ। ইডির দাবি, তৃণমূল সাংসদ এই অবৈধ ব্যবসা থেকে প্রাপ্ত তহবিলের সুবিধাভোগী ছিলেন। যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।