প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শততম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান না শোনার জন্য 'শাস্তি'র মুখে পড়তে হয়েছে চণ্ডীগড়ের নার্সিং পড়ুয়াদের। তাঁদের হস্টেল ছাড়তে না বলা হয়েছে। এই ঘটনায় কেন্দ্রের শাসক দলকে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। 'মন কি বাত'-কে 'মাংকি বাত' বলেও কটাক্ষ করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, মন কি বাত না শোনায় কি তাঁকে বাড়ির বাইরে বেরোতে দেওয়া হবে না?
টুইটারে মহুয়া লিখেছেন,'মাংকি বাত আমিও শুনিনি। একদিন নয়, কোনওদিনই শুনিনি। আমাকেও কি শাস্তি দেওয়া হবে? আমাকেও কি এক সপ্তাহ ঘরবন্দি থাকতে হবে? বিষয়টি আশঙ্কার।'
ঘটনাটি কী?
পোস্টগ্র্যাডুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন রিসার্চ কর্তৃপক্ষ একটি লিখিত নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল, ৩০ এপ্রিল ক্যাম্পাসে মন কি বাত সম্প্রচারিত হবে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নার্সিং এডুকেশন পড়়ুয়াদের সেখানে যোগদান আবশ্যক। তবে ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর রেডিও-বার্তা শোনেননি নার্সিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ২৮ জন পড়ুয়া এবং প্রথম বর্ষের ৮ জন পড়ুয়া। কেন অংশ নেননি তার কোনও ব্যাখ্যাও দিতে পারেননি অনুপস্থিত পড়ুয়ারা। এর পরই এক সপ্তাহ হস্টেলের বাইরে না বেরানোর 'শাস্তি' দেওয়া হয় তাঁদের। পোস্টগ্র্যাডুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন রিসার্চ কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহত্তর স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত। অন্য কোনও ব্য়াখ্যা করা অনুচিত।
আরও পড়ুন- 'দাড়ি রাখলেই রবীন্দ্রনাথ হয়ে যাবেন না', নাম না করে PM মোদীকে নিশানা শশীর
নার্সিং পড়ুয়াদের কেন মন কি বাত শোনা বাধ্যতামূলক? ওই নির্দেশিকা নিয়ে পিজিআইএমইআর ব্যাখ্যা দিয়েছিল,'পাঠ্যক্রমেরই অংশ ছিল অনুষ্ঠান। অতিথি বক্তা, বিশেষজ্ঞ ও সেরা বক্তাদের কথা শোনার সুযোগ পেয়েছেন পড়ুয়ারা। যে বক্তব্য তাঁদের পেশাগত জীবনের উন্নতিতে কাজে দেবে।'