বাজেট নিয়ে জবাবি ভাষণে নির্মলা সীতারমনকে আক্রমণ করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে। এ দিন নির্মলা দাবি করলেন, কোনও রাজ্যের সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়নি। পেশ করেন পরিসংখ্যান। তবে শ্বেতপ্রকাশের দাবি করে তৃণমূল। নির্মলার ভাষণ চলাকালীন ওয়াকআউট করেন দলের সাংসদরা।
তৃণমূলের দাবি, বাংলা সরকারের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। আবাস যোজনা এবং একশো দিনের কাজে কত টাকা দেওয়া হয়েছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানাক। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে এই দাবি করে আসছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'একশো দিন এবং আবাস যোজনার টাকা দাবি করে আসছি আমরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি করেছেন। কিন্তু এনিয়ে কোনও কথাই বললেন না কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বরং কোন প্রকল্পে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সে সব বলতে শুরু করলেন। কিন্তু রাজ্যভিত্তিক কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেটা বললেন না। প্রতিবাদ জানাতে ওয়াকআউট করেছে তৃণমূল'।
নির্মলার বাজেট পেশের পর তৃণমূল অভিযোগ করেছিল, এটা বিহার আর অন্ধ্রপ্রদেশের বাজেট। কুর্সি বাঁচাতেই দুই রাজ্যকে আর্থিক সহযোগিতা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ দিন তার জবাব দেন নির্মলা। তিনি বলেন,'বিভ্রান্তিকর প্রচার করা হচ্ছে যে, শুধু মাত্র ২টো রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, বাকি রাজ্যে দেওয়া হয়নি। বাজেটে কোনও রাজ্যকে বঞ্চনা করা হয়নি। বাজেটে কোনও রাজ্যের নাম উল্লেখ করা হয়নি বলে যে বরাদ্দ পায়নি, এমনটা নয়।'
ইউপিএ আমলের বাজেটের প্রসঙ্গ টেনে সীতারামন জানান, 'ইউপিএ আমলে বাজেটে অনেক রাজ্যের নাম উল্লেখ করা হয়নি। ২০০৬-২০০৭ বাজেটে ১৩টি রাজ্যের নাম বলা হয়নি। ২০০৪-২০০৫ বাজেটে ১৭টি রাজ্যের নাম উল্লেখ করা হয়নি। ২০০৯-২০১০ বাজেটে ২ রাজ্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।'
সোমবার আদানি ও আম্বানির প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় সরকারকে পুঁজিবাদীদের সরকার বলে আক্রমণ করেছিলেন লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এ দিন অর্থমন্ত্রী রাহুল গান্ধীর আক্রমণের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন,'আদানিকে যখন প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল, সেই সময় কেউ আপত্তি করেননি। যাঁরা এ ওয়ান, এ টু বলছেন, তাঁরাও চুপ ছিলেন।'