উত্তর সিকিমে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১০০০ ফুট খাদে পড়ল পর্যটক বোঝাই গাড়ি। এই ঘটনায় ২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ৯ পর্যটক। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর সিকিমের গুরুদংমার লেক থেকে একটি পর্যটক বোঝাই গাড়ি ফিরছিল। চুংথাং ও মুন্সিথাংয়ের মাঝে আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে গাড়ির চালক। সামলাতে না পেরে ১০০০ ফুট নীচে তিস্তা নদীর খাদে পড়ে যায় গাড়িটি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সেনা, ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ এবং সিকিম পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান প্রশাসনের আধিকারিকরাও।
মঙ্গনের SP সোনম দেটচু জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময়ে গাড়ি চালক সহ ১১ জন ছিলেন। ২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের গ্যাংটকের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মাল্টি এজেন্সি রেসকিউ অপারেশন শুরু হয়েছে। চুংথাংয়ের SDPO নেতৃত্বে সিকিম পুলিশ, সেনা, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ, রাজ্য পুলিশ, এবং জেলা আধিকারিকরা রাত থেকে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। দুর্যোগে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার কারণে বা কোনও ভাবে গাড়ির চাকা স্কিট করে যাওয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের থবর, নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার পর্যটকেরা। দু'টি রাজ্যের দু'টি পর্যটক দল শেয়ার করে ওই গাড়িটি ভাড়া করেছিলেন।
দুর্যোগ এবং নাগাড়ে বৃষ্টিপাতের কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই রাস্তায় যান চলাচলের গতি কিছুটা স্লথ ছিল উত্তর সিকিমে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরেই লাচুং যাওয়ার রাস্তা খারাপ রয়েছে। মঙ্গন থেকে লাচুং যাওয়ার জন্য চুংথাং-মুন্সিথাং আপ রোড এবং ফিডাং রোড দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে পর্যটকদের গাড়িগুলিকে। এবার সেই রাস্তাতেই ঘটল এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পর্যটকরা। ধসপ্রবণ এলাকা হিসেবেই চিহ্নিত উত্তর সিকিমের একাধিক রাস্তা। ফলে বর্ষার সময়ে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয় গাড়িচালকদের।