Attempt To Derail Train: কেরলের কুন্দরায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে গেল! রেললাইনের উপর টেলিফোন পোল রেখে ট্রেন দুর্ঘটনার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে সৌভাগ্যবশত, এক স্থানীয় বাসিন্দার সতর্কতার কারণে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজেশ (৩৩) ও অরুণ (৩৯) নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কীভাবে ধরা পড়ল অভিযুক্তরা?
শুক্রবার গভীর রাতে, স্থানীয় এক ব্যক্তি পুরনো ফায়ার স্টেশনের কাছে রেললাইনের উপর টেলিফোন পোল পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। এরপর রেলওয়ের কর্মীরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পোলটি সরিয়ে নেন। এভাবে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তির উপস্থিতি ধরা পড়ে। পুলিশি জেরায় তারা স্বীকার করে, তারা পোলটি ভেঙে কাস্ট আয়রন চুরি করার চেষ্টা করছিল। তবে এই ঘটনার পেছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র আছে কিনা, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের আগেও বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
রেললাইনে নাশকতার ছক!
এটা প্রথমবার নয়, এর আগেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলিতে এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছিল। সেখানে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা রেললাইনের ওপর বড় বড় পাথর ফেলে দিয়েছিল। তবে লোকো পাইলটের সতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
গত কয়েক মাসে, ভারতের বিভিন্ন জায়গায় রেললাইনে নাশকতার একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। কখনও গ্যাস সিলিন্ডার, কখনও লোহার রড, কখনও বড় বড় পাথর রেখে ট্রেনকে বিপদের মুখে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। এই ধরনের ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা, কেন এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে – তা এখনো ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে।
সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত?
ভারতের বিশাল সংখ্যক জনগণ প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করেন। সেই কারণে, রেললাইনে নাশকতার এই প্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন আরও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে, তবে প্রশ্ন থেকেই যায় – এই নাশকতার পেছনে কারা? এর আসল উদ্দেশ্য কী? সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলির আরও সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এমন কোনো ষড়যন্ত্র সফল না হয়।