বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আগ্রহী তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সঙ্গে মেঘালয় এবং অসমেও আসন চায় তারা। সূত্র মারফত এমন খবরে জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এ বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস ও তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
সূত্রের খবর, বাংলায় ২টি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে চাইছে তৃণমূল। অসম ও মেঘালয়ে একটি করে আসনে লড়তে চায় তারা। মেঘালয়ের তুরা লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে মমতার দল। ওই কেন্দ্র তাদের ছাড়তে চায় না কংগ্রেস। এ ব্যাপারে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দুই দলের তরফেই আসেনি।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে জোটের কথা যে চলছে না, তা-ও অস্বীকার করেননি তিনি।কুণালের কথায়,'জোটর বিষয়ে কোনও কথা বলব না। যা বলার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলবেন। জোটে কোথায় সমস্যা, কেন সমস্যা- সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন দুজনেই। তার পর নতুন কোনও কথা হলে তা যথাসময়ে জানানো হবে।'
তৃণমূলের সঙ্গে জোট চায় না প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের একাংশ। এ ব্যাপারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক সুমন রায়চৌধুরী। তাঁর মন্তব্য,' এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই। মিডিয়ায় দেখেছি এ খবর। প্রদেশ কংগ্রেসের কাছে কোনও তথ্য নেই। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিই বলবেন। ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, দুর্নীতিগ্রস্ত ও কালিমালিপ্ত কোনও দলের জোট চান না কংগ্রেস কর্মীরা'।
কেন্দ্রীয়স্তরে ইন্ডিয়া জোটে থাকলেও রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে মমতার সখ্যতা তৈরি হয়নি। শুরু থেকেই অধীর চৌধুরীর নানা ইস্যুতে তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাগাতার আক্রমণ মেনে নিতে পারেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, বিজেপির হাতে তামাক খাচ্ছেন অধীর। এদিকে, কংগ্রেসকে দুটি আসন ছাড়তে রাজি ছিলেন মমতা। যা মেনে নিতে পারেনি কংগ্রেসও। তারা আরও বেশি আসন চায়। যা দিতে চাননি তৃণমূল নেত্রী। তার উপরে মমতার দাবি, রাহুলের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা যে বাংলার উপর দিয়ে যাবে, সেই খবর তাঁকে জানানো হয়নি। যদিও কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছিলেন, মমতাকে চিঠি দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এর মধ্যে মমতা কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আক্রমণকে আরও তীব্র করেন। ফলে দুই শিবিরের মধ্যে মতানৈক্য আরও চওড়া হয়। তবে বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে কথা শুরু হতে চললেও তা যে সার্থক হবে, তা এখনই বলা যায় না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে দিচ্ছেন, ২০১৯ সালে বারবার আলোচনার পরেও আলাদা আলাদা লড়াই করে দুই দল। ২০২১ সালে জোটে আইএসএফ-কে নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন অধীর। তাই দুই দলের আলোচনার জল কোন দিকে গড়ায় তা বলবে ভবিষ্যৎ।