এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দয়ের করল ত্রিপুরা পুলিশ। একইসঙ্গে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), দোলা সেন (Dola Sen) ও ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) বিরুদ্ধেও। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া সহ একাধিক বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে এফআইআর।
ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার। দলীয় কাজে ত্রিপুরায় (Tripura) গিয়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তর মতো তৃণমূল (TMC) নেতানেত্রীরা। অসম-ত্রিপুরা রাজ্য হাইওয়েতে তাঁদের গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটপাথর। পাথরের আঘাতে মাথাও ফেটে যায় একজনের। কিন্তু পুলিশ কোনওভাবেই তাদের সাহায্য করেনি বলে দাবি তৃণমূলের। বরং যারা হামলা চালিয়েছে পুলিশ তাদের হয়েই কাজ করছিল বলে অভিযোগ। এরপর রাতে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের ১৪ জন নেতা কর্মীকে।
তৃণমূল নেতা নেত্রীদের গ্রেফতারের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেদনা ছড়ায় ত্রিপুরা ও বঙ্গের রাজনীতিকে। তড়িঘড়ি পরদিনই ত্রিপুরায় পৌঁছান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেনও। খোয়াই থানায় পুলিশের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল নেতৃত্ব। কখনও ধৃতদের ছেড়ে দেওয়া, কখনও আবার জামিন অযোগ্য ধারাগুলি তুলে নেওয়ার দাবি জানান হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
এবার সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই অভিষেক, কুণাল, ব্রাত্য ও দোলার বিরুদ্ধে এফআইআর করল ত্রিপুরা পুলিশ। তৃণমূল নেৃতৃত্ব বেআইনি দাবি জানিয়েছেন, পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে অভদ্র আচরণ করেছেন বলে উল্লেখ তরা হয়েছে এফআইআর-এ। একইসঙ্গে পুলিশ আধিকারিকের ঘরে চিৎকার, ধৃতদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার মতো অভিযোগও এফআইআর-এ করেছে পুলিশ। এখন দেখার পুলিশের এই এফআইআর-কে কেন্দ্র করে কোন দিকে মোড় নেয় ত্রিপুরার রাজনীতি।