Agartala Airport Protest: কুণাল, সায়নীরা ত্রিপুরা পৌঁছতেই উত্তেজনা। বুধবার সকাল থেকেই নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হল আগরতলা বিমানবন্দরে। তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল আগরতলা পৌঁছতেই পুলিশি জটিলতা শুরু হয়। অভিযোগ, দলের জন্য নির্ধারিত চারটি গাড়ির মধ্যে তিনটিকে কোনও কারণ ছাড়াই আটকে দেয় পুলিশ। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। বিমানবন্দরের সামনেই বসে পড়েন ধর্নায়। এরপর ট্যাক্সি করারও চেষ্টা করেন তাঁরা। সেখানেও তুমুল জটিলতা তৈরি হয়। শেষমেশ পায়ে হেঁটেই রওনা হন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।
রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, 'পুরোটাই পরিকল্পিত। আমাদের আটকানোর চেষ্টা হয়েছে, যাতে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে না পারি।' তাঁর অভিযোগ, ত্রিপুরার রাজনৈতিক অশান্তি থেকে নজর ঘোরাতেই এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'এখানকার মানুষ সব দেখছে। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টা চলছে।'
সেই সঙ্গে প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য সায়নী ঘোষ বলেন, 'এভাবে ভয় দেখিয়ে দমন করা যাবে না। আমরা সব সময় ত্রিপুরার মানুষের পাশে আছি এবং থাকব।'
এই ঘটনা একদিন আগের একটি হামলার জেরে ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক ঝড়। সোমবার রাতে আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। লাঠি-রড নিয়ে তাণ্ডব চলে, ছিঁড়ে ফেলা হয় দলের পতাকা ও ফ্লেক্স। অফিসের সামনে ভাঙচুরের চিহ্ন ছড়িয়ে থাকে। তৃণমূলের দাবি, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপির সমর্থিত দুষ্কৃতীরা।
দলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার) পোস্ট করে লেখা হয়, 'ত্রিপুরায় বিজেপি-সমর্থিত গুণ্ডাদের হাতে আমাদের পার্টি অফিসে হামলা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত।'
তৃণমূল কংগ্রেস আগেই ঘোষণা করেছিল, ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে কলকাতা থেকে কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ, সুদীপ রাহা-সহ পাঁচজনের দল যাত্রা করেন। কলকাতা বিমানবন্দরে রওনা হওয়ার আগেই কুণাল ঘোষ বলেন, 'অতীতে আমাদের নেতা-নেত্রীদের উপর হামলা হয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছিল। এবারও ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'কিন্তু আমরা পিছু হটব না। যেভাবেই বাধা দেওয়া হোক, আমরা ত্রিপুরার মানুষের জন্যই যাচ্ছি।' এরপরই পায়ে হেঁটে রওনা হন তাঁরা।