আচমকা দুর্ঘটনা সেবক রংপো রেলপথ নির্মাণে
শিলিগুড়ি-সিকিম রেলপথ নির্মাণের সময় বড় দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় মৃত দুই শ্রমিক, জখম অন্তত পাঁচ। তাঁদের তড়িঘড়ি নিকটবর্তী কালিম্পং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা থেকে রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
কখনকার ঘটনা
বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ কালিম্পং সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ভালুখোলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই মূহূ্র্তে অনেকেই কাজ করতে চাইছে না। আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলবেন কর্তৃপক্ষ বলে জানানো হয়েছে।
দুজনের হাসপাতালে মৃত্যু
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে সাত কর্মীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। উদ্ধারের সময় প্রত্য়েকেই জীবিত ছিল।পরে তাঁদের মধ্যে দুজন কালিম্পং জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসা শুরু হলে চিকিৎসায় আর সাড়া দেননি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সুপারের দাবি
কালিম্পংয়ের পুলিশ সুপার হরিকৃষ্ণ পাই বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অন্য শ্রমিকদের সাহায্যে ধস সরিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে যে, দুর্ঘটনার সাথে জড়িত সমস্ত শ্রমিক বিহারের বাসিন্দা। তাদের সঠিক পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নজর রাখছে রেল কর্তৃপক্ষ
রাত সাড়ে দশটায় ঘটনাটি ঘটেছে এবং কীভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে এই ঘটনার প্রভাব যাতে রেলপথ নির্মাণে না পড়ে তার জন্য পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে রেল কর্তৃপক্ষ। নির্মাণে এর সরাসরি কোনও প্রভাব পড়বে না বলে রেল কর্তাদের দাবি। তবে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আচমকা ধসেই বিপত্তি
শিলিগুড়ি-সিকিম (সেবক থেকে রংপো) ৪৪.৯৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের প্রায় ৮৫ শতাংশই এর মধ্যে পড়ে। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক জানান, কালিম্পংয়ের ভালুখোলাতে সেবক- রংপো রেল লাইনে টানেল তৈরির সময় কাজ চলাকালীন রাত প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ টানেলের একটি অংশ ভেঙে পড়ে। বাইরে তখন অঝোরে বৃষ্টি পড়ছিল। ওই সম ভিতরে থাকা ৭ জন শ্রমিক মাটি-পাথরের স্তুপের মধ্যে আটকা পড়ে যায়।
গুরুতর জখমদের শিলিগুড়িতে স্থানান্তর
পরে কালিম্পং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দুজন মারা যান। আহত ৫ জনের মধ্যে গুরুতর জখম দুজনকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকিরা বিপন্মুক্ত বলে জানা গিয়েছে।