জাঙ্ক ফুড ও প্যাকেটজাত খাবার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল কিনা বা সেগুলি খাওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলতেই থাকে। তবে এবার প্যাকেটজাত খাদ্য ও পানীয় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ফ্যাসাইকে চাপে রাখার অভিযোগ উঠল। এই ধরনের খাবারের প্যাকেটে বিপদজনিত সতর্কবার্তা না দেখানোর জন্য ফ্যাসাই (FSSAI) এই সংস্থাগুলির দ্বারা চাপে রয়েছে বলে দাবি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
জাঙ্ক ফুডের ওপরে কী থাকা উচিত, স্টার রেটিং নাকি সতর্কবার্তা? এই প্রশ্নের উত্তরে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. অরুণ গুপ্তা ইন্ডিয়া টুডেকে জানান, "হেলথ স্টার রেটিং সুস্থতা পরিমাপ করে, খাবারের অস্বাস্থ্যকর অংশ পরিমাপ করে না।" তিনি আরও বলেন, "FSSAI যে খাদ্য ও পানীয় শিল্পের লবির চাপের মধ্যে কাজ করছে এবং প্যাকেটজাত খাবারে বিপদের সতর্কতা চিহ্নের মতো স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ এড়িয়ে যাচ্ছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।" এই বিষয়ে বলতে গিয়ে আইআইএম আহমেদাবাদের তৈরি করা একটি রিপোর্টের ওপরে অতিরিক্ত নির্ভর করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সরকারী কী বলছে?
এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে আইআইএম আহমেদাবাদের সমীক্ষায় কী উঠে এসেছে? সমীক্ষায় বলা হয়েছে হেলথ স্টার রেটিং এফওপিএল (FOPL) বা ফ্রন্ট অফ দ্য প্যাক লেবেলিংয়ের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। অরুণ গুপ্তা জানাচ্ছেন এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি।
জানা গিয়েছে, ইসরায়েল, চিলি, মেক্সিকো, ব্রাজিল, পেরু এবং উরুগুয়ের মতো বেশ কয়েকটি দেশ জাঙ্ক ফুড আইটেমের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং সেখানে রোগের প্রকোপ কমে এসেছে। বিপণনে বিধিনিষেধের পর চিনিযুক্ত পানীয়ের ব্যবহার ২৪% হ্রাস পেয়েছে চিলিতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ভারতের মতো দেশে অসংক্রামক রোগের বৃদ্ধির কারণে এটিতে সময়ের প্রয়োজন।
মনে করা হয় যে প্রতি বছর ৯ মিলিয়ন মৃত্যুর মধ্যে ৫.৮ মিলিয়ন লোক এনসিডিতে মারা যান। সাম্প্রতিক মেটা বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে অতি প্রক্রিয়াজাত খাবারের উচ্চ ব্যবহার মৃত্যুর ঝুঁকি ২৯% বাড়িয়ে দেয়।
এদিকে ফ্যাসাইয়ের একটি সূত্র জানাচ্ছে, হেলথ স্টার রেটিং ফ্রন্ট অফ দ্য প্যাক লেবেলিংয়েরই একটি রূপ। এটিকে শুধুমাত্র খসরা বিজ্ঞপ্তি হিসেবে সামিল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে সমস্ত স্টেহোল্ডারদের মতামতও চাওয়া হবে বলে দাবি ওই সূত্রের।