ভারতের 'বন্ধু' বলে আসা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসিয়েছে। এদিকে আমেরিকার সঙ্গে একাধিক বৈঠকে ১০-১৫ শতাংশ শুল্ক রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত, জানান কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এদিন লোকসভায় ট্যারিফ নিয়ে আলোচনায় একথা জানান তিনি।
'আমদানিতে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল'
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার বিষয়ে লোকসভায় বিবৃতি দেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি জানান, দুই পক্ষের মধ্যে চার দফা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুক্তিটি চূড়ান্ত করার জন্য অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। তাঁর দাবি, আমদানিতে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
'দেশের স্বার্থের জন্য যা যা করা সম্ভব তাই করব'
পীযূষ জানান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু ভার্চুয়াল সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে দেশের স্বার্থের জন্য, দেশের শিল্পকে বাঁচাতে যা যা করা সম্ভব তাই করবেন। আজও পীযূষ দাবি করেন, বিশ্ব উন্নয়নে ভারতের অবদান ১৬ শতাংশ। যা বিশ্বের পাঁচটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে একটি। তিনি বলেন, আমেরিকার এই পদক্ষেপের প্রভাব মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
'সরকার শিল্পপতিদের সঙ্গে কথা বলছে'
তিনি স্পষ্ট জানান, আজ ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার শিল্পপতিদের সঙ্গে কথা বলছে। দেশকে নিরাপদ রাখার জন্য সব পদক্ষেপ নেব। কয়েক বছরের মধ্যে আমরা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হব। আমাদের রফতানি বেড়েছে। আমরা কৃষকদের জন্য কাজ করছি। সরকার আত্মবিশ্বাসী যে আমরা ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হব।"
UAE এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর
ভারতের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ভারত সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অস্ট্রেলিয়ার সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা রপ্তানিতে নতুন গতি সঞ্চার করেছে। বিশ্ব বাণিজ্যে ভারত শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে এবং সরকার জাতীয় স্বার্থে প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে। ভারত সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা রফতানিতে নতুন গতি সঞ্চার করেছে। বিশ্ব বাণিজ্যে ভারত শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে এবং সরকার জাতীয় স্বার্থে প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে।