সঞ্চার সাথী অ্যাপসঞ্চার সাথী অ্যাপ ফোনে রাখা বাধ্যতামূলক নয়, বরং ঐচ্ছিক। 'স্পাই' বিতর্কের মাঝে এমনটা জানালেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
আসলে ভারত সরকারের টেলিকম সংস্থা এক নির্দেশিক জারি করেছিল। তাদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল যে এখন থেকে সব নতুন ফোনে আগে থেকেই ইনস্টল হয়ে আসবে সঞ্চার সাথী অ্যাপ। আর এই ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। বিরোধীদের অনেকেই এই অ্যাপকে পেগাসাস বলে ঘোষণা করে। তাদের মতে, এই অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি চালাবে সরকার।
এই বিষয়ে কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, 'এটা পেগাসাস প্লাস প্লাস। বড় ভাই (কটাক্ষ করেছেন মোদীকে) আমাদের ফোন ও ব্যক্তিগত জীবন পুরোপুরি দখল করে নেবেন।'
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "সব মোবাইলে সঞ্চার সাথী অ্যাপ সব মোবাইলে ইনবিল্ড ফিচার হিসেবে ইনস্টল করতে বলা হয়েছে, এটা 'বিগ বসের' নজরদারি ছাড়া আর কিছুই নয়। ব্যক্তিগত ফোনে এমন নজরদারির তীব্র প্রতিবাদ করা হবে।"
কেন বিতর্ক?
প্রথমে জানা গিয়েছিল, এই অ্যাপ সব মোবাইলে রাখা বাধ্যতামূলক। এটিকে ডিলিট করা বা স্টপ করা যাবে না। এমনকী পুরনো ফোনেও সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে এই অ্যাপ ইনস্টল করা হবে। আর এই সিদ্ধান্ত নিয়েই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। যদিও যাবতীয় জল্পনার অবসান করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি জানিয়ে দিলেন, এই অ্যাপ ফোনে রাখা বাধ্যতামূলক নয়। যার ফলে আপাতত বিতর্ক কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই অ্যাপের লাভ কী?
এই অ্যাপ ইনস্টল করলে নানাবিধ লাভ মিলবে বলে জানান হয়েছে। প্রথমত, এটি ডিজিটাল ফ্রড থেকে করবে রক্ষা। পাশাপাশি ভুয়ো IMEI ব্যবহার বন্ধ করবে। সেই সঙ্গে ফোন চুরি গেলে সেটা ট্র্যাক করা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। তাই কেন্দ্রের তরফে এই অ্যাপ নিয়ে আসা হয়েছে বলেই দাবি।
প্রথমে বলা হয়েছিল, নতুন সব ফোনেই এই অ্যাপ প্রি ইনস্টল হয়ে আসবে। যদিও সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। বিরোধীরা সরকারের ইচ্ছে নিয়ে প্রশ্ন শুরু করে দেয়। তাদের মতে, এর মাধ্যমে আদতে দেশবাসীর উপর নজর চালাবে কেন্দ্রীয় সরকার। আর চাপের মুখে নিজের পুরনো সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিল মোদী সরকার।