কুশিনগরে এক মহিলা কনস্টেবলের ঘরে ঘটে গেল এক অদ্ভুত ও লজ্জাজনক ঘটনা, যা সেখানকার গোটা পুলিশ মহলকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। সিনেমার মতো কাহিনি, প্রেম, সন্দেহ, প্রতারণা এবং অবশেষে চাঞ্চল্যকর উন্মোচন।
ঘটনাপ্রবাহ
সূত্র অনুযায়ী, কুশিনগর জেলার কাস্য নগরে ভাড়া করা একটি ঘরে আলাদা থাকতেন এক মহিলা কনস্টেবল। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর স্বামীর সন্দেহ ছিল স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়ে। দেড় বছরের টানাপোড়েনের পর সম্প্রতি স্বামী হঠাৎ স্ত্রীর বাড়ি পৌঁছে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। একাধিকবার ধাক্কা দিয়েও দরজা না খোলায় সন্দেহ আরও বাড়ে।
অবশেষে পুলিশ ডাকা হয়। বহু চেষ্টা শেষে দরজা ভাঙলে দেখা যায়, ঘরে উপস্থিত রয়েছেন ওই মহিলা কনস্টেবলের প্রেমিক, যিনি নিজেও একজন কনস্টেবল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বামী রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে প্রেমিককে মারধর করেন। পরে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কায় প্রেমিককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
চাঞ্চল্যকর তথ্য
ঘটনার সবচেয়ে অবাক করা দিক হল, স্বামী, স্ত্রী এবং প্রেমিক, তিনজনই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত। স্বামী পুলিশ লাইনে, স্ত্রী কাস্য থানায় এবং প্রেমিক শেভারহি থানায় কর্মরত। অর্থাৎ একই বিভাগের তিনজন কর্মীর মধ্যে তৈরি হয়েছে এই জটিল প্রেমকাহিনি।
থানায় উত্তেজনা
ঘটনার পর কাস্য থানায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্বামী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে।
শাস্তির আশঙ্কা
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধেই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। পুলিশের দায়িত্বে থেকে ব্যক্তিগত জীবনে এই ধরনের কেলেঙ্কারি গোটা বিভাগের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
এলাকায় ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, 'এ যেন একেবারে সিনেমার দৃশ্য—প্রথমে দরজায় ধাক্কা, তারপর পুলিশ ডাকা, অবশেষে প্রেমিক হাতেনাতে ধরা।'